আদব কায়দায় চিকিৎসকের অর্থ উপার্জন


রবিবার,১২/০৭/২০১৫
779

খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ  সুস্থ ব্যক্তিকে কেমোথেরাপি দিয়েছেন মার্কিন এক চিকিৎসক। এই অভিযোগে তাকে ৪৫ বছরের কারাদন্ডের আদেশও দিয়েছে আদালত। এসব কেমোথেরাপি বাবদ বিমা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঞ্চলের ডা. ফরিদ ফাতা রোগীদের ভুল শারীরিক পরীক্ষার রির্পোট দেখিয়ে তাদের ক্যান্সারের চিকিৎসা নিতে বাধ্য করতেন। কারণ কেমোথেরাপির দেয়ার সুযোগে তিনি হাতিয়ে নিতে পারতেন লাখ লাখ ডলার মূল্যের স্বাস্থ্য বিমা নিশ্চয়তা।

প্রায় ৫৫৩জন রোগীকে বিনা প্রয়োজনে ইনজেকশন দিয়েছেন ডা. ফাতা। গত সেপ্টেম্বরে ৫০ বছর বয়ষ্ক এক হেমাটোলজিস্ট ভুয়া ক্যানসারের চিকিৎসা দিতে আপত্তি জানালে ঘটনাটি সকলের নজরে আসে। মার্কিন চিকিৎসকের অর্থ আয়ের এ কেমন কৌশল!

ফাতার বিরুদ্ধে চিকিৎসায় প্রতারণার অভিযোগে ১৩টি, অর্থ আত্মসাতের জন্যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে একটি এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।ফাতা ব্যক্তিগত এবং মেডিকেয়ার বাবদ বিমা কোম্পানির কাছ থেকে ১৭ দশমিক ছয় মিলিয়ন ডলার আত্মসাত করেছে।

ফাতাকে চার দশক অর্থাৎ ৪০ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের রায়ের পর ক্ষমা চেয়ে ফাতা বলেন, ‘আমি স্বার্থপর হয়ে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছি। সেই সঙ্গে রোগীদের বিশ্বাস নষ্ট করেছি। আমি জানি না কিভাবে এই অপূরণীয় ক্ষতি পূরণ করা যায়। আমার দুঃখ এবং লজ্জা প্রকাশের কোনো ভাষা নেই।’

সরকার পক্ষের আইনজীবীর মতে, ‘এটি দেশটির ইতিহাসে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতারণার ঘটনা। চিকিৎসক ফাতার কাছে রোগীরা মানুষ নয়, বরং মুনাফা তৈরির কারখানা ছিল।’

ফাতা তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রথমেই খুবই শক্তিশালী এবং মূল্যবান ঔষুধ দিতো।
হার্ভাড মেডিকেলের অধ্যাপক ডা. ড্যান ল্যাঙ্গু বলেন, ‘এসব ঔষুধ বেশি প্রয়োগ করলে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।’

উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ এসব ঔষুধ মানবদেহে সর্বোচ্চ আটবার প্রয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু ফাতা একজন রোগীকে ৯৪বার এবং অপর একজনকে ৭৬বার এই ঔষুধ প্রয়োগ করেছিলেন। ফাতা নয় হাজার বারেরও বেশি অপ্রয়োজনীয় ইনজেকশন রোগীদের শরীরে পুষ করেছেন।

ফাতার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা একজন ভুক্তভোগী রবার্ট সোবিয়ারি। তিনি দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। এতে তার দাঁত পড়ে গেছে এবং শরীরের ভারসাম্য অনেকাংশে হারিয়ে ফেলেছেন। ফাতা তার ব্লাড ক্যানসার হয়েছে বললেও, তার শরীরে কোনো ক্যানসারের জীবাণু পাওয়া যায়নি।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট