চিত্র পরিচালকদের কাছে পুরুলিয়া হচ্ছে ছবি করার স্বর্গোদ্যান


শুক্রবার,২৩/০১/২০১৫
1368

অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়াঃ ‘ হীরক রাজার দেশে ‘ করতে গিয়ে এক ঝলকেই সত্যজিৎ রায় চিনে গেছিলেন পুরুলিয়াকে। পুরুলিয়ার জয়চণ্ডী পাহাড়ে হয়েছিল অসাধারণ এই চলচিত্রটির শুটিং। সেই শুরু । তারপর কাঁসাই, দামোদর ও সুবর্ণরেখা দিয়ে বয়ে গেছে জল । কালক্রমে চিত্র পরিচালকদের কাছে এক অন্যতম ল্যাণ্ডস্কেপ হয়ে উঠেছে পুরুলিয়া । পরিচালকদের কাল্পনিক গ্রাম এবং প্রেক্ষাপট তৈরীর জায়গাও হয়ে উঠেছে পুরুলিয়া । তাই , বিগত কয়েক বছরে খ্যাতনামা পরিচালকরা তাঁদের সিনেমার বেশীরভাগ অংশ আবার কখনও পুরো অংশই শুটিং করে গিয়েছেন এখানে । জেলার বৈচিত্রপুণ প্রাকৃতিক সৌন্দযকে সেলুলয়েডে বন্দী করার লোভ সামাল দিতে পারেননি তাঁরা । স্থানীয় প্রতিভাবান ও দক্ষ কলাকুশলী পেয়ে যাওয়ায় একটা বাড়তি সুবিধে ও সুযোগ রয়েছে এই জেলায় । টলিউডের খ্যাতনামা চিত্র ও ধারাবাহিক পরিচালকদের কথায় , এখানে নদী , পাহাড় , বন – জঙ্গল , আদর্শ গ্রাম – সবই রয়েছে । সর্বোপরি এখানকার মানুষজন অতি সহজ সরল। সবরকম সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন তাঁরা । গত তিন বছরে পুরুলিয়ায় শুটিং করে গেছেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত , গৌতম ঘোষ , রাজ চক্রবতীর মতো বিখ্যাত চলচিত্র পরিচালকরা । এর কয়েক বছর মাত্র আগে এই পুরুলিয়াতে শুটিং করে গেছেন ইতালির চিত্র পরিচালক ইটালো স্পিমেলি । বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত উত্তরা ছবিটির শুটিং করেছিলেন পুরুলিয়ায় , এরপর , ‘ মন্দ মেয়ের উপখ্যান ‘ ‘ জানালা ‘ মতো পূণদৈঘর ছবি ছাড়াও দূরদর্শনে জন্য ধারাবাহিক । এসবের চিত্রগ্রহণ পুরুলিয়ার প্রেক্ষাপটে করেন তিনি । গৌতম ঘোষ তাঁর ‘ শুন্যঅংক ‘ ছবির জন্য প্রথম বার আসেন পুরুলিয়ায় । অযোধ্যা পাহাড়ে ছবিটির শুটিং করতে গিয়ে মুগ্ধ হয়ে যান তিনি । স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন ‘ পদ্মা নদীর মাঝি ‘র পরিচালক । কলকাতার এত কাছে পুরুলিয়ার মতো এত ভাল শুটিং স্পট পাওয়া সত্যিই দুর্লভ । নিজের প্রলয় ছবির শুটিং করতে পুরুলিয়ায় এসে সঙ্গে সঙ্গেই পুরুলিয়াতেই নিজের দ্বিতীয় ছবির শুটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন রাজ চক্রবতী । সম্প্রতি সেই ছবিটির শুটিং পুরুলিয়ায় করে গেলেন তিনি । পুরুলিয়ায় শুটিং করা প্রসঙ্গে এই পরিচালকরা সবাই একযোগে বলেন পুরুলিয়া এমন একটা জেলা যেখানে সব রকমের ভূপ্রকৃতি পাওয়া যায় । বৈচিত্রপূণ জনপদ ও মানুষেরও দেখা মেলে এখানে । তাই এক জায়গায় থেকে সব রকমের শুটিং করা সম্ভব এখানেই । তাতে খরচ অনেকটাই কমে যায় ছবি তৈরীর । পুরুলিয়ায় ছবি তৈরীর পরিবেশ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জেলার প্রবীণ নাট্য কর্মী কুচিল মুখোপাধ্যায় বলেন , পুরুলিয়ার সব প্রান্তেই রয়েছে দু’ চোখ ভরে উপভোগ করার মতো প্রাকৃতিক সৌন্দয । বষায় পুরুলিয়ার এক রুপ তো বসন্তে প্রকৃতির অন্য পুরুলিয়ায় । আবার শীত ও গ্রীষ্মে সম্পুন আলাদা ছবি এই জেলায় । ভূপ্রকৃতি ছাড়াও এই জেলাতেই রয়েছেন বহু সব অভিনেতা ও কলাকুশলী । পুরুলিয়ায় ছবি করার ক্ষেত্রেও তা আলাদা একটা সুবিধা বলে জানান কুচিলবাবু । প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও পরিচালকরা এখানে সব রকমের সাহায্য পেয়ে থাকেন বলে জানান তিনি ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট