৩৭তম বিষ্ণুপুর মেলা: মল্লভূমের ঐতিহ্যের উন্মোচন


সোমবার,২৩/১২/২০২৪
19

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর আজ থেকে হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যের এক নতুন উজ্জ্বল মঞ্চ। সূচনা হয়েছে ৩৭তম বিষ্ণুপুর মেলার, যা মল্লভূমের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মেলা চলবে আগামী ২৭শে ডিসেম্বর পর্যন্ত, যেখানে সঙ্গীত, শিল্প, এবং বস্ত্রকলার এক অপূর্ব মেলবন্ধন প্রত্যক্ষ করবে দর্শকরা।

মেলার প্রধান আকর্ষণ

বিষ্ণুপুর মেলা বরাবরই মল্লভূমের অনন্য ঐতিহ্যের প্রতীক। এবারের মেলায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মল্লরাজাদের আমলে বিকশিত ধ্রুপদী সঙ্গীতের নিজস্ব ঘরানাকে। মেলাতে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা উপভোগ করবেন বিষ্ণুপুর ঘরানার ধ্রুপদী সঙ্গীতের সুরেলা পরিবেশনা।

এছাড়াও মেলার এক বড় আকর্ষণ হলো বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী বালুচরি শাড়ি। বালুচরির জটিল বুনন ও পৌরাণিক গল্পবস্ত্র সারা দেশ এবং বিশ্বের মানুষকে মুগ্ধ করে আসছে। এই শাড়ির মাধ্যমে বিষ্ণুপুরের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে পুনরায় জীবন্ত করে তোলা হবে।

শিল্প ও হস্তশিল্পের প্রদর্শনী

ডোকরা শিল্প এবং টেরাকোটা শিল্প, যা বিষ্ণুপুরের হস্তশিল্পের অবিচ্ছেদ্য অংশ, মেলায় বিশেষ স্থান পেয়েছে। শিল্পীদের হাতের নিপুণ কাজে ফুটে উঠবে মল্লভূমের অতীত গৌরব। এছাড়া, মেলায় বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রীর স্টল থাকবে যেখানে ক্রেতারা তাদের পছন্দসই শিল্পকর্ম কেনার সুযোগ পাবেন।

পর্যটনের সম্ভাবনা

মেলার আয়োজন বিষ্ণুপুরকে পর্যটনের মানচিত্রে আরো উজ্জ্বল করে তুলতে ভূমিকা রাখবে। প্রতিবারের মতোই, স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার আয়োজন করেছে। মেলার পাশাপাশি বিষ্ণুপুরের ঐতিহাসিক মন্দির, টেরাকোটা স্থাপত্য, এবং অন্যান্য আকর্ষণ পর্যটকদের মন জয় করবে।

বিষ্ণুপুর মেলা শুধুমাত্র এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়; এটি মল্লভূমের ঐতিহ্য, কৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি প্রয়াস। যদি আপনিও শিল্প, সঙ্গীত এবং সংস্কৃতির মোহময় জগতে হারিয়ে যেতে চান, তবে বিষ্ণুপুর মেলা হবে আপনার আদর্শ গন্তব্য।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট