একটি ছোট্ট গ্রামে যখন কেউ ভুত-প্রেতের কথা শোনে, সেখানে রুহ বাবার আগমন ঘটে। এক কন-ম্যান হিসেবে কুখ্যাত রুহ বাবা (কার্তিক আরিয়ান) লোকজনকে বিশ্বাস করাতে পারেন যে তিনি বাস্তবেই আত্মাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। কিন্তু তার নতুন কাজটি তাকে এনে দেয় ভিন্ন এক মোড়। মীরা (ত্রিপ্তি দিমরি) এবং তার মামা (রাজেশ শর্মা) রুহ বাবাকে এক রহস্য উদ্ঘাটনের দায়িত্ব দেন: একটি প্রাসাদের ভিতরে থাকা প্রাচীন কক্ষ, যেখানে কথিত আছে মঞ্জুলিকা নামে একটি ভয়ংকর আত্মা বাস করে। এই পৌরাণিক কাহিনী ভাঙার জন্য রুহ বাবা এক কোটি টাকার প্রস্তাব পান।
প্রাসাদের পুরনো রহস্য উদ্ঘাটনের আগেই জানা যায় মঞ্জুলিকার গল্পটি। এক রাজকীয় পুরোহিত (মণীশ ওয়াধওয়া) থেকে জানা যায় যে, প্রায় ২০০ বছর আগে রুহানের পূর্বপুরুষকে তার নিজের বোন মঞ্জুলিকা হত্যা করেছিল, এবং পরে তাদের বাবা রাজা নিজেই তাকে পুড়িয়ে দেন। কিন্তু তার আত্মা এখনো জেগে আছে, এবং রুহানের মাধ্যমেই সে আবার ফুঁসে উঠতে চায়।
দুর্গাস্থমীর শুভ মুহূর্তে রুহ বাবা প্রাসাদের এই বন্ধ কক্ষ খুলে দেন। কিন্তু এর পরেই ঘটে আরও এক রহস্যময় ঘটনা। প্রাসাদের আরেকটি তালাবদ্ধ কক্ষ উন্মোচিত হয়, যেখানে বাস করে অশুভ আত্মা অঞ্জুলিকা (মাধুরী দীক্ষিত)। এখন রুহানকে দু’টি আত্মার মোকাবিলা করতে হবে, তার নিজ পরিবার এবং পুরো গ্রামের সুরক্ষার জন্য।
রাজকীয় পরিবারের বর্তমান উত্তরসূরি, রাজা (বিজয় রাজ), এই ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন। একসময় সমৃদ্ধ রাজবংশ এখন দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে এই অভিশপ্ত আত্মাদের কারণে। গল্পটি শুধু পৌরাণিক কাহিনীতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বাস্তবেও যখন প্রাসাদের প্রতিটি দেওয়ালে মিশে থাকা রক্তাক্ত ইতিহাস সামনে আসে।
গল্পের শেষে কি রুহ বাবা তার মিথ্যা চক্রান্ত চালিয়ে যেতে পারবে, নাকি এই রহস্যময় অভিশাপের হাত থেকে প্রাসাদকে মুক্ত করতে পারবে?