বাংলাদেশ : মাথায় রাখতে হবে ঘুমন্ত সব রা*ক্ষস এখন জেগে উঠবে


বৃহস্পতিবার,০৮/০৮/২০২৪
1814

মুহাম্মদ হোসাইন: একটা বিষয় পরিষ্কার বলে দেই। পাবলিক ভার্সিটির কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়ে সাধারণ জনগনের তেমন কোন মাথাব্যথা ছিল না। পাবলিক ভার্সিটির পুলাপান বিগত কয়েকবছর ধরেই এই আন্দোলন অন এন্ড অফ করে এসেছে। চার সপ্তাহ আগেও তারা রাস্তাঘাটে বসে ছিল। জনগণ তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হলেও এটা নিয়ে এতো মাথা ঘামায়নি। বাস্তবতা হচ্ছে সবার এতো সময় নেই। এই কারণেই বিগত স্বৈর আওয়ামী-সরকার এ আন্দোলনকে আন্ডারএস্টিমেট করেছে শেষ পর্যন্ত।

কিন্তু এই আন্দোলনকে মূলত জোরদার করেছে বিএনপি এবং জামাত কারণ, এখানে তাদের স্বার্থ ছিল। এবং একইসাথে, উস্তায আসিফ নজরুলের মতো বলতে হয়, ছাত্রদের মধ্যেও স্বাভাবিকভাবে বিএনপি ও জামাতের সমর্থক ছিল, যা থাকাটা খুবই স্বাভাবিক।

এখন ভুলে গেলে চলবে না এই আন্দোলনে সর্বাধিক প্রাণ দিয়েছে প্রাইভেট ভার্সিটির পুলাপাল ও সাধারণ জনগন। যখন পাবলিকের হলগুলো থেকে বিতাড়িত হয়ে পুলাপান গা ঢাকা দিয়ে চলছিল সেখানে প্রাইভেটেরগুলো ডিবি দিয়ে প্রতিরাতে রেইড খেয়েছে। এই আন্দোলনকে বেগবান করতে তাদের অবদান সর্বাধিক। এটা ভুলে গেলে চলবে না। তাদের আন্দোলন কোন কোটার জন্যে ছিল না। তাদের আন্দোলন ছিল আবু সাইদের জন্যে, পুলিশের গুলিতে নিহত অন্য শহীদদের জন্যে। প্রাইভেট ভার্সিটির পুলাপান এসব কোটা নিয়ে পড়ে ছিল না, তারা আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়েছে। এবং সবশেষে সাধারণ জনগন এটাকে ১ দফা দাবীতে রূপান্তরিত করেছে। যদি কোন সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞেস করেন, তবে দেখবেন শুরু থেকেই তার ১ দফা দাবীই ছিল। আমিও সেই কাতারে পড়ি। প্রাইভেট ভার্সিটিগুলো থেকে বেশকিছু সমন্বয়ক রাখা অনেক দরকার ছিল। কারণ, সত্যিকারভাবে তারাই নিঃস্বার্থ আন্দোলন করেছে।

এখন সমন্বয়করা সেই বিএনপি ও জামাত দুই সন্ত্রা*সী দলের সাথেই মিলেমিশে বুদ্ধি পরামর্শ করছে। সাথে রয়েছে বহুবার ক্ষমতায় আসতে চাওয়া, আওয়ামীলীগের সাথে মিলে নির্বাচন করতে চাওয়া চরমোনাই। লিবারেল ব্যাঙের ছাতা বামদলগুলোতো রয়েছেই।

এখন তাহলে আমাদের কি করা উচিত। প্রথমত, সমন্বয়কদের কাজ শেষ। সরকার গঠনের পর ভদ্র ছেলে-মেয়ের মতো ক্লাস করবে। তাদের আর রাজনীতি দরকার নেই। এখন, আমাদের একটা অপশন আছে যা হচ্ছে অন্তর্বতীকালীন সরকারকে ২-৩ বছর ক্ষমতা দেয়া। এতে করে বিএনপি চাঁ*দাবাজগুলো নির্মূল করার সুযোগ হবে, ভ্রান্ত আকিদার র*গ-কাঁ*টা শিবির নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এবং পরবর্তী নির্বাচনে বেশকিছু রাজনৈতিক দল গঠন এবং সমন্বয় করার সুযোগ পাবে যার মাধ্যমে একক সংখ্যাগরিষ্ঠহীন একটি জাতীয় সরকার হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে যেখানে কেউ নিজের মতো করে দূর্নীতি করতে পারবে না।

মাথায় রাখতে হবে ঘুমন্ত সব রা*ক্ষস এখন জেগে উঠবে। বলবে- “We are looking for শত্রুজ”

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট