প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এক প্রেমিকের আত্মহত্যা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সব আত্মহত্যা প্রেমিকের প্ররোচনার কারণে হতে পারে না। দুর্বল চিত্তের মানুষের আত্মহত্যার পিছনে প্রেমিকের প্ররোচনা দেওয়ার সূত্র খোঁজা উচিত নয়। উঠে এলো বিচারপতির পর্যবেক্ষণে এই মত। দিল্লি হাইকোর্ট সম্প্রতি পর্যবেক্ষণ করেছে যে প্রেমে ব্যর্থতার কারণে যদি কোন প্রেমিক আত্মহত্যা করে তবে তার সঙ্গীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায় না। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অমিত মহাজন এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। এক মহিলার সঙ্গে মৃত ব্যক্তির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলার সঙ্গে তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট আদালতে পেশ করা হয়। ওই ব্যক্তি মৃত্যুর সময় একটি সুইসাইড নোট লিখে যান। এখানে তার মৃত্যুর জন্য ওই মহিলাকে দায়ী করা হয়। তবে যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট আদালতে পেশ করা হয় সেখানে প্রকাশ পেয়েছে ওই ব্যক্তির দুর্বল চিত্তের বিষয়টি। সেখানে কথোপকথনে উঠে আসে যদি ওই মহিলা তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয় বা কথা না বলে তাহলে সে আত্মহত্যা করবে। এই ধরনের কথোপকথন whatsapp চ্যাটে উল্লেখ ছিল। বিচারপতি তা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন এবং এই মামলায় নিজের পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। সব ক্ষেত্রে সুইসাইড নোটে কাউকে অভিযোগ করলেই সে দোষী এমনটা ভেবে নেওয়া সঠিক নয়। এই মামলার পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে এমন তথ্য। বিচারপতি অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছেন। মামলার পর্যবেক্ষণে উঠে আসে প্রেমের সম্পর্কের ব্যর্থতার জন্য মৃতকে ব্যক্তিকে উত্যক্ত করেছিল এমন অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। ৩০৬ নম্বর ধারার পরিপ্রেক্ষিতে আত্মহত্যায় পড়েছো না দেওয়ার মতো ঘটনা বলে মনে করেননি বিচারপতি।
প্রেমে ব্যর্থতার কারণে আত্মহত্যা মানেই প্রেমিকের প্ররোচনা নয়, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের
বৃহস্পতিবার,১৮/০৪/২০২৪
116