কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। মেলার উদ্বোধনের দিন থেকেই উপচে পড়া ভিড় এই প্যাভিলিয়নে। প্যাভিলিয়নটি বানানো হয়েছে ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়া ঢাকার রিকশার চিত্রকলা নিয়ে। সম্প্রতি বাংলাদেশের রিকশা ও রিকশা চিত্র ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে।
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় প্রতি বছরই অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। কলকাতায় বই প্রেমী মানুষদের কাছে, বাংলাদেশের লেখকদের নানা সাহিত্য রচনার চাহিদা বেশ ভাল থাকায় প্রতিবেশী দেশের বই কেনার জন্য আগ্রহ দেখা যায়। ব্যাতিক্রম নয় এবছরও। প্যাভিলিয়নটি বানানো হয়েছে ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়া ঢাকার রিকশার চিত্রকলা নিয়ে। সম্প্রতি বাংলাদেশের রিকশা ও রিকশা চিত্র ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। এই ঐতিহ্যগত শিল্পকলাকে প্রাধান্য দিয়ে এবারের ৪৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে ৩ হাজার ২০০ ফুট জায়গা জুড়ে তৈরা করা হয়েছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। এবারের মেলায় বাংলাদেশের ১০টি সরকারিসহ ৪৩টি প্রকাশনা সংস্থা যোগ দিয়েছে।
রয়েছে বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, জাতীয় জাদুঘর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, পাঠক সমাজ, আগামী প্রকাশনী, অনন্যা, ইউপিএল, জ্ঞানকোষ প্রকাশনী, অনুপম প্রকাশনী, প্রথমা প্রকাশন, তাম্রলিপি, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, সময় প্রকাশন, অন্যপ্রকাশ, গতিধারা, কথা প্রকাশ, কাকলী প্রকাশ, পুথি নিলয়, পাঞ্জেরী পাবলিকেশনস, ভাষাচিত্র, অনিন্দ্য প্রকাশ, বাতিঘর ইত্যাদি প্রকাশনা সংস্থা। প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বইপ্রেমীদের ভিড় জানান দিচ্ছে বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি ঐতিহ্য জানতে কলকাতার বই-পোকা পাঠকেরা কতটা আগ্রহী। তাই তারা পছন্দের বই কিনছেন তালিকা ধরে ধরে।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, হুমায়ুন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলনের মতো লেখকদের লেখা বই সারে সারে সাজানো বিভিন্ন স্টলে। পাশাপাশি রয়েছে রাজনৈতিক বইয়ের সম্ভার। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর লেখা নানান বই স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের বিভিন্ন স্টলে।
ইউনেস্কো স্বীকৃত ঢাকার রিক্সা, কলকাতা বইমেলায় আকর্ষণে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন
বুধবার,৩১/০১/২০২৪
11194