মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টের একাধিক মন্তব্যে জেরে দীর্ঘদিনের সু-সম্পর্কে ছেদ ঘটেছে। দু’দেশের সম্পর্কের এই অবনতির জেরে মালদ্বীপের পর্যটনেও বড় প্রভাব পড়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে যেখানে মালদ্বীপে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যায় শীর্ষে ছিল ভারত তা এক ধাক্কায় পাঁচে নেমে গিয়েছে। একে উঠে এসেছে রাশিয়া।
বিদেশ ভ্রমণে ভারতীয় পর্যটকদের কাছে অন্যতম সেরা ঠিকানা ছিল মালদ্বীপ। কিন্তু বর্তমান উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মালদ্বীপের প্রতি আকর্ষণ হারিয়েছেন বহু ভারতীয়। মালদ্বীপের পর্যটন দফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে পর্যটকদের হিসেবে ভারতীয়রা ছিল শীর্ষস্থানে। কয়েক মাসের মধ্যে ছবিটা বদলে গিয়েছে। যেখানে গত ডিসেম্বর মাসে বিদেশি পর্যটক এর সংখ্যায় ভারত ছিল শীর্ষস্থানে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তা পঞ্চম স্থানে পৌঁছে গিয়েছে। বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত ভারত ও মালদ্বীপের বর্তমান সম্পর্কের অবনতি ঘটার কারণেই ভারতীয় পর্যটক কমছে মালদ্বীপে। এর জেরে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে মালদ্বীপকে। পর্যটন শিল্প মালদ্বীপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। ভারতীয় পর্যটকরা অনীহা দেখানোই এই পর্যটন শিল্পে বড়সড়ো আঘাত আসতে চলেছে মালদ্বীপে। এক মাসে পর্যটক সংখ্যা তলানিতে পৌঁছেছে। উদ্বিগ্ন সে দেশের ব্যবসায়ীরা। ভারত মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় বিদেশি পর্যটক সংখ্যায় মালদ্বীপে এখন শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। তার পরেই আছে ইতালি। মলদ্বীপে আসা ১৮ হাজার ১১১ জন পর্যটক ইতালি থেকে এসেছেন। তিন এবং চারে আছে যথাক্রমে চিন ১৬ হাজার ৫২৯ জন এবং ইংল্যান্ড ১৪ হাজার ৫৮৮ জন। মালদ্বীপের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ভাল ছিল ভারতের। হঠাৎ করে সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। সে দেশের তিন মন্ত্রী ভারত এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দেন। সে বিতর্ক আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায় প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে। তার পরই শুরু হয় ‘মলদ্বীপ বয়কট’-এর ডাক।
মালদ্বীপ পর্যটনে বড় আঘাত, কমেছে ভারতীয় পর্যটক
বুধবার,৩১/০১/২০২৪
2586