শারদ সংলাপ


বুধবার,০৪/১০/২০২৩
513

শরৎ অপরাহ্ন নন্দিত পরিপূর্ণ,

ধুধু মসৃণ বালুচরে।

শুনি পেতে কান বাতাসের গান

স্রোতস্বিনী পদ্মার তীরে।

উর্ধে অনাবিল আকাশ নীল

উড়ছে বকের সারি।

কাশবনে পাখির কিচিরমিচির

পরিবেশটা মনোহারী।

আকাশ নুইয়ে দিগন্ত ছুঁইয়ে

সবুজে পাতায় মিতালী।

সদ্য স্নাত কী প্রানবন্ত

কিশলয়ের পত্রাবলী।

বিধির বরে কাশফুলের চরে

সহস্র পদচারণে ধন্য।

দু’চোখ জুড়ায় হৃদয় হারায়

শরতের বিকাল অনন্য।

আমি রয়েছি তাঁর প্রতীক্ষায়

জানি না সে কতদূর।

হঠাৎ সে পাশে বসে ধপাসে

আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ়!

অতি আবেগে কৃত্রিম রেগে

আঁড়চোখে তাকাই বেঁকে!

দিয়ে গোলাপ শুরু আলাপ

“মিষ্টি গন্ধ, দেখো না শুঁকে।

বেছে শতটি এনেছি এ’টি

তোমার জন্য এই ফুল।

মুখটি তোল অভিমান ভোল

ও গো সজনী পারুল!”

“চোখ তুলি ম্লান হেসে বলি

জনাব জগলু জটায়ু!

দ্রুত গিয়ে ওদিকটায় বসি

শরৎ সন্ধ্যাটা অল্পায়ু!”

হাত ধরাধরি করি তড়িঘড়ি

বসলাম নদীর ঢালে!

কাশফুলের আলো-ছায়ার

লুকোচুরি মোদের কোলে।

হাজার হাজার শ্বেত পতাকার

কাশফুল কেঁপে উড়ে।

বাতাসের সাথে সংলাপ পাতে

প্রণয়ে আছড়ে পড়ে!

নদীর জল বয় কলকল

প্রেমী নিষ্পলক বালুচরে।

উড়ছে ফুল উড়ছে চুল

আঁচলও যেতে চায় সূদুরে!

ঢেউয়ের জলে আলো ঝলমলে

মুখাবয়বে খেলে ঝিলিক।

পড়ন্ত বেলায় রক্তিম আভায়

ঠিকরায় মুক্তা মানিক!

শরতের দিনে সন্ধ্যার ক্ষণে

যখন সূর্য অস্তাচলে।

নৈসর্গিক রূপে নির্বাক নিশ্চুপে

শারদ সংলাপ চলে!

লিখেছেন কবি : এ কে সরকার শাওন

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট