তোলপাড় হয়েছিল বাংলার রাজনীতি। সাত বছর আগে বিধানসভা ভোটের প্রাক মুহূর্তে সামনে এসেছিল ঘুস কান্ড। নারদা কান্ড। সাত বছর আগের ঘটনা। সিবিআই তদন্ত চলছে সেই থেকেই। তবে তেমন কিছু অগ্রগতি হয়নি। এই ঘটনায় কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। হবে বিজেপিতে নাম লেখানো শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস নিশানা করেছিল বিজেপিকে । যারা বিজেপিতে নাম লেখাবেন তাদের ডাকা হবে না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নারোদা কাণ্ড কে ব্যবহার করছে বিজেপি। জনমানসে এই মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। একই অপরাধে কেউ গ্রেপ্তার হলেন কেউবা হলেন না। কেন? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খায় বিভিন্ন মহলে। তারপর আবার কেটে গেছে বহুদিন। হঠাৎ করে নড়েচড়ে বসলো সিবিআই। নাড়ু দা কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। কলকাতায় সিবিআই দপ্তরে হাজির হতে বলা হয়েছে ম্যাথুকে। তবে এবার বেঁকে বসেছেন ম্যাথু। বিমানযাত্রার খরচ না দিলে আসতে পারবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ম্যাথুর দাবি, এই বিষয়ে কলকাতার সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানিয়েছেন, ট্রেনের টিকিটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ট্রেনে কলকাতা আসতে ও ফিরে যেতে তাঁর মোট ৬ দিন সময় লেগে যাবে। একজন সাংবাদিকে হিসেবে ওই সময় দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ম্যাথু। আপাতত জট কাটিয়ে তিনি হাজিরা দেন কি না সেটাই দেখার।
ঠিক সাত বছর আগে বাংলার রাজনীতি তোলপাড় করে দিয়েছিলেন সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল। তাঁর সংস্থা নারদ নিউজ এমন কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছিল, যা সাড়া ফেলে দিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। তৎকালীন প্রথম সারিতে থাকা রাজনীতিকরা ঘুষ হিসেবে নগদ টাকা নিচ্ছেন, এমন অভিযোগই সামনে এনেছিলেন তিনি। যে দৃশ্য তাঁর সংস্থার স্টিং অপারেশনে ধরা পড়েছিল বলে দাবি করা হয়। সেই ঘটনার ৭ বছর পর ফের তৎপর সিবিআই। নারদ কর্তাকে তলব করা হল কলকাতায়। আগামী সোমবার নিজাম প্যালেসে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।