বিকাশ সাহাঃ মরেও শান্তি পেলেন না রায়গঞ্জের এক গৃহবধূ। পড়িবার সুত্রের খবর, রায়গঞ্জের ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চানসা মালিবাড়ি গ্রামের গৃহবধু বালিকা বর্মণ (৪৫) রাতের খাওয়া সেরে মাটির বারান্দায় বসেছিলেন। রাতের অন্ধকারে বারান্দায় বসে থাকার সময় হটাত করে তিনি বাঁ পায়ে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন। ঘর থেকে বেড়িয়ে স্বামী উপেন বর্মণ টর্চ জ্বালিয়ে একটি সাপ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে পায়ে শক্ত করে কাপড়ের বাঁধন দিয়ে গৃহবধূকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার রাতেই গৃহবধূকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শেষে মৃত মহিলাকে বাঁচানোর জন্য কুসংস্কারের আশ্রয় নেন গ্রামবাসীরা। সর্পদংশনে মৃত বধুর দেহ থেকে বিষ ছাড়ানোর জন্য এদিন শুক্রবার দিনভর চললো ওঝার ওস্তাদিপনা। সকাল থেকেই ওঝার ঝাঁরফোঁক করা দেখতে ও মৃত মানুষ জীবিত হতে দেখার কৌতূহল নিয়ে মৃতার বাড়ির উঠানে গ্রামের মানুষের ঢল পরে যায়।
মৃতার স্বামী মাংশ বিক্রেতা উপেন বর্মণ বলেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও বাঁচানো যায়নি স্ত্রীকে। তাই টুঙ্গিদিঘী থেকে ওঝা ডেকে নিয়ে এসে চিকিৎসা করার চেষ্টা করা হলেও বউকে বাঁচানো গেল না।
শেষ পর্যন্ত বেলা তিনটে নাগাত সবদেহ সৎকার করার জন্য শ্মশানে নিয়ে যায় গ্রামবাসীরা। ততক্ষনে সবদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। ( প্রতিকি ছবি )
মরেও শান্তি পেলেন না রায়গঞ্জের এক গৃহবধূ
শুক্রবার,১৯/০৬/২০১৫
637