হারবে বিজেপি, জিতবে ভারত: মমতা


বুধবার,১৯/০৭/২০২৩
1044

বেঙ্গালুরু বিরোধী জোটের দ্বিতীয় বৈঠক হয়ে গেল মঙ্গলবার। সারা দেশের রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল এদিনের বৈঠকে। বেঙ্গালুরুতে ১৭ ও ১৮ জুলাই, দুদিন ধরে চলল ২৬টি বিরোধী দলের বৈঠক। সোমবার রাতে একসঙ্গে নৈশভোজও করেন বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা। ডিনারেই প্রস্তাব রাখা হয় নতুন নাম নিয়ে। আজ অর্থাত্‍ মঙ্গলবার বৈঠকে ‘INDIA’ নাম রাখা হয় বিরোধী জোটের। INDIA’- জোটের পুরো নাম ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স। বৈঠক নিয়ে বিরোধীদের একযোগে তোপ দেগেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। বৈঠক শেষে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। এদিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের বৈঠক অত্যন্ত ভালো হয়েছে। এর ফলও ভালো হবে। এদিনের বৈঠকের ফল ভবিষ্যতে দেশবাসীকে উপকৃত করবে। হারবে বিজেপি, জিতবে ভারত।

বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লালায়িত নয় কংগ্রেস।সব বিরোধী দলগুলি বৈঠক করল, বিভিন্ন রাজ্যে তাদেরই মধ্যে আবার রাজনৈতিক লড়াই চলে। যেমন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের তীব্র বিরোধী বাম ও কংগ্রেস। এই ধরনের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, ‘আমরা জানি, রাজ্যস্তরে আমাদের কিছু মতপার্থক্য আছে। কিন্তু সেই মতপার্থক্য আদর্শগত নয়। এতটাও বড় মতপার্থক্য নয় যে, দেশের মধ্যবিত্তি, যুব সম্প্রদায়, গরিব মানুষ, আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের অধিকার নিঃশব্দে ছিনিয়ে নেওয়াকে রুখতে তা পিছিয়ে দিতে পারি।’ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে হারানোর স্ট্র্যাটেজি বেঙ্গালুরুতে বসে ঠিক করে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম, সমাজবাদী পার্টি, ইউনাইটেড জনতা দল, আরজেডি সহ ২৬টি বিরোধী দল। এদিনের বৈঠকে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ, সমাজবাদী পার্টি সহ মোট ২৬টি বিরোধী দল উপস্থিত ছিল। কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে তৃণমূলের মমতা ব্যানার্জি, সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি, আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব সহ তাবড় তাবড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী ১০ বছরের জন্য দেশ শাসনের ভার পেয়ে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রের সর্বনাশ করে ছেড়েছেন। তিনি দেশের মানুষের মধ্যে ঘৃণার বাতাবরণ তৈরি করেছেন। অর্থনীতি গোল্লায় গিয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি চরম সীমায়, প্রতিটি ক্ষেত্র কর্মসংস্থানের অভাবে ধুঁকছে। এ বার ভারতের জনগণের কাছে সময় এসেছে হেস্তনেস্ত করার। এ জন্যই সমমনস্ক দলগুলি একসঙ্গে এসেছে।’ আগে বিহারের রাজধানী পাটনায় হয়েছে বিরোধী দলগুলোর প্রথম বৈঠক। পাটনা থেকেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ঘোষণা দিয়েছিলেন দ্বিতীয় বৈঠকটি হবে বেঙ্গালুরুতে। আর সেই বৈঠকে যোগ দিতে সোমবার বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এভাবে ২৬ টি দলের একত্রে একটি ছাতার নীচে আসা জাতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলেই রাজনৈতিক কারবারিদের অনেকে মনে করেছে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট