ডিএ আন্দোলনকারীদের বৈঠক নবান্নে, কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সোচ্চার সরকার


শনিবার,২২/০৪/২০২৩
506

নবান্নে বৈঠক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং অর্থ সচিবের। মহার্ঘ ভাতার দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। শুধু কলকাতায় নয়, দিল্লিতেও তাদের আন্দোলন চলছে। কলকাতা হাইকোর্ট এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠকে বসার নির্দেশ দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল এইভাবে টানা আন্দোলন চলতে পারে না। এর ফলে সাধারণ মানুষের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আদালতের নির্দেশে এদিন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা নবান্নে পৌছান মুখ্য সচিব ও অর্থসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য। কিন্তু বৈঠক নিষ্ফলা রয়ে গেল। বৈঠক থেকে বের হয়নি কোন সমাধান সূত্র। একদিকে আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি থেকে সরতে নারাজ। ডিএ-র দাবিতে তারা সোচ্চার। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বর্তমান আর্থিক দুরবস্থার প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন রাজ্যের দুই শীর্ষ আধিকারিক। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার প্রাপ্য কোটি কোটি টাকা আটকে রেখেছে সেখানে কিভাবে এই দাবি তারা করেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেই। রাজ্যে একাধিক সামাজিক প্রকল্প চলছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী যুবশ্রী স্বাস্থ্য সাথীর মতো একাধিক সামাজিক প্রকল্প চালু করেছেন। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও এসব সামাজিক প্রকল্পে কোনরকম আঘাত আনতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তারপরেও আন্দোলনকারীরা আন্দোলনে অটল থাকায় রাজ্যের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এই মুহূর্তে আর ডিএ বাড়ানো সম্ভব নয়। এবারের রাজ্য বাজেটে তিন শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। তারপর যদি আরও দাবি করেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ তাহলে তা মেটানো সম্ভব নয় স্পষ্ট করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন নবান্নে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক আদালতের নির্দেশে হয় নবান্নে।
মুখ্য সচিব ও অর্থ সচিবের সঙ্গে বৈঠক আন্দোলনকারীদের। DA নিয়ে কাটলো না জট। আগামী ৬ মে কলকাতায় আন্দোলনের ডাক।মহামিছিলের ডাক আন্দোলনকারীদের। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে মিলছে না অর্থ। কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ থাকায় আর্থিক টান রয়েছে রাজ্যের।বহুবার আবেদনের পরও আটকে রেখেছে বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ। রাজ্য সরকারের প্রশ্ন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কেন সুর চড়াচ্ছে না আন্দোলনকারীরা। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দিলে ডিএ দিতে কোন অসুবিধা ছিল না রাজ্যের। সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য ডি এ আন্দোলনকারীদের ইন্ধন দিচ্ছে বিজেপি ও সিপিএম। যারা কো-অর্ডিনেশন কমিটি করে, সারাদিন কাজ করে না তারা এই আন্দোলনের মাথা। বক্তব্য এইভাবে সাধারন মানুষের কাজ বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন করা অনৈতিক।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট