হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে অশান্তি রুখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী


বৃহস্পতিবার,০৬/০৪/২০২৩
425

উৎসব মানে আনন্দ, এটাই জানি আমরা। এখন উৎসবকে কেন্দ্র করে ছড়াচ্ছে হিংসা। উৎসবের আবহে আজ আস্ত্রের ঝনঝনানি। দিকে দিকে ছড়াচ্ছে হিংসা আর হিংসা। শুধু বাংলায় নয়, দেশের নানা প্রান্ত শিকার। হিংসার আগুনে পুড়ছে শান্তি।শান্তিপ্রিয় মানুষের গায়ে অশান্তির আঁচ। উৎসবে কেন ছড়াবে অশান্তি? কেন উৎকণ্ঠায় থাকতে হবে মানুষকে? কেন প্রশাসনকে ব্যতিব্যস্ত হতে হবে? এই হিংসার কী শেষ নেই? আমরাও চাই হিংসা শেষ হোক

সব জায়গায় ফিরে আসুক শান্তি। মানুষ নির্ভয়ে চলাফেরা করুক। তার জন্য এগিয়ে আসতে সবাইকে। সবাইকে শান্তি-প্রত্যাশী হতে হবে। জল ঢালতে হবে হিংসার আগুনে। এখানে নেতাদের ভূমিকা কিছুটা বেশি। তা মনে করিয়ে দিল হাই কোর্টে। ‘হনুমানজয়ন্তী নিয়ে কোনও বক্তব্য নয়’।’নেতারা বক্তব্য পেশ করতে পারবে না’। ‘উস্কানি ছড়ায় এমন কিছু বলা যাবে না’। ‘রুট মার্চ করতে হবে স্পর্শকাতর এলাকায়’। ‘প্রয়োজনে ব্যারিকেড করতে হবে’। হাই কোর্টের নির্দেশ আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।কলকাতা, ব্যারাকপুর, চন্দননগরে মোতায়েন।বেশকিছু নির্দেশিকা জারি লালবাজারেও।শোভাযাত্রার আবেদন করতে হবে অনলাইনে। অস্ত্র নিয়ে মিছিল করা যাবে না। কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না। বলা হয়েছে লালবাজারের নির্দেশিকায়। শান্তি ফেরাতে সক্রিয় আছে প্রশাসন।বারবার শান্তি ফেরানোর আবেদন। হাতজোড় করে আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর। আজ আবার সেই আবেদন করেছেন। শুধু প্রশাসন সক্রিয় হলে হবে না। শান্তি ফেরাতে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে। শান্তিকামী মানুষ পারে হিংসার আগুন নেভাতে। তারজন্য এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে। তাতে উদয় হবে শুভচিন্তার। হিংসাকামীরা পিছু হটতে বাধ্য হবে। তাই আমাদের দায়িত্ব অনেকটাই বেশি।

হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছে রাজ্যে। স্পর্শকাতর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে তিন কোম্পানি প্যারামিলিটারি ফোর্স মোতায়েন করছেন নবান্ন। ব্যারাকপুর, চন্দননগর ও কলকাতা এই তিনটি জায়গায় এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। হাইকোর্টে নির্দেশ মেনে চলতে হবে আপনাদের। হনুমান জয়ন্তীর কোন মিছিল হলে তা ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। ঠিক করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ৫ ও ৬ নম্বর প্যারাগ্রাফ মানতে হবে। মিছিল করতে আসা প্রত্যেকের আইডি কার্ড চেক করতে হবে। জেলাশাসক পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে নির্দেশ দিলেন মুখ্য সচিব বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। রুট ঠিক করার জন্য, আজকের বৈঠকে কলকাতা হাই কোর্ট এর নির্দেশের কপি এসপি,সিপি ও জেলাশাসক দের দেওয়া হল।প্রত্যেক কে খুঁটিয়ে হাই কোর্ট এর অর্ডার পড়ার নির্দেশ। নবান্নে মুখস সচিবের নেতৃত্বে বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আধা সেনা নেবে রাজ্য।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট