দীঘার কর্মীসভায় সম্প্রীতির বার্তা মমতার


মঙ্গলবার,০৪/০৪/২০২৩
442

পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় বুথ কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে পুনরায় শান্তি-সম্প্রীতির বার্তা দিলেন তিনি। ছড়িয়ে দিলেন সৌহার্দের বাতাবরণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বক্তৃতার শুরুতেই বলেন, দাঙ্গাকারীর কোনো ধর্ম হয় না, কোনো সম্প্রদায় হয় না। দাঙ্গাকারীদের একটাই ধর্ম – তার নাম নৈরাজ্য। রাম নবমীর নামে, সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্টপোষক বিজেপি উদ্দেশ্য-প্রণোদিতভাবে এবং পরিকল্পিত উপায়ে বাংলার শান্তি-সম্প্রীতি নষ্ট করতে যাবতীয় চেষ্টা করে চলেছে। রাজনৈতিকভাবে যেহেতু তারা তৃণমূলের সঙ্গে পেরে ওঠে না, তাই তাদের এই শিরঃপীড়া। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থকে চরিতার্থ করতে তারা বাংলার এই পুণ্যভূমিতে দানব উল্লাস করে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার বিশ্বাস আছে এই রাজ্যের প্রতিটি মানুষের উপরে যে, তাঁরা কোনোভাবেই এই হার্মাদ-জল্লাদদের প্ররোচনায় পা দেবেন না। সিপিআইএমের হার্মাদরাই আজ বিজেপির ওস্তাদ। সিপিআইএমের ৩৪ বছরের অপশাসনের জগদ্দল পাথর সরিয়ে, বাংলার মা-ভাই-বোনেদের আশীর্বাদকে পাথেয় ক’রে, মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। বিজেপির ষড়যন্ত্র ২০২১-এও পারেনি, আগামীতেও পারবে না, আমাদেরকে জনসেবা থেকে বিরত রাখতে।

তৃণমূল সুপ্রিম ও এদিন আরো বলেন, বাংলায় সব বিরোধীরা আজ এক হয়েছে, এই জনগণের সরকারকে নানান ভাবে বিপদে ফেলতে। কিন্তু যতদিন আমি আছি, ততদিন এই রাজ্যবাসীর কারোর কোনো ক্ষতি হবে না – এটাই আমার প্রতিজ্ঞা। আমি নিজেও হিন্দু। আমি শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী, আমি সর্ব-ধর্ম-সমন্বয়ের প্রচারক স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী। তাই আমি বারংবার বলি, ‘নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, / বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান’। মনে রাখবেন, বাংলার সৌহার্দ্য-কৃষ্টি-ই আমাদের বেঁচে থাকার জিয়নকাঠি।

মমতা বলেন, বিজেপি আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়তে অক্ষম বলে, কেন্দ্রীয় তহবিল আটকে দিচ্ছে।‌ কিছু হলেই পাঠিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাহলে অন্যান্য বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে সেই নীতি প্রযোজ্য নয় কেন? কিন্তু ওরা ভুলে যাচ্ছে, লড়াইতে আমার জন্ম, সংগ্রাম-ই আমার যাপন। আমার পাশে রাজ্যের সাধারণ মানুষ থাকলেই, আমি যেকোনো রাজনৈতিক ঝড়কে রুখে দেবো এই বাংলার স্বার্থে। আপনাদের অপার আশীর্বাদ এবং বিপুল ভালোবাসার জন্য, আমি আজ আপনাদের সেবায় নিয়োজিত। আমি জানি আপনাদের এই সমর্থন থাকলে, আমার অনিঃশেষ পথচলা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই বাংলার স্বার্থে আমি নিজের প্রাণ দিতে পর্যন্ত রাজি।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট