বিভিন্ন জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশাকর্মীদের নিগৃহীত হওয়ার খবর


সোমবার,১২/১২/২০২২
1217

পি.এম আবাস যোজনার যোগ্য প্রাপকদের তালিকা ধরে সমীক্ষার কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশাকর্মীদের নিগৃহীত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী রেবা বিশ্বাস, শাসক দলের হুমকির চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। জেলাশাসকের নির্দেশে আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ করছিলেন তিনি। জানা গেছে, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তাকে তালিকায় কারচুপি করতে বাধ্য করার চেষ্টা করছিল। নেতাদের কথা মতো রিপোর্ট না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ। আজ ভোরে বাড়ির পেছনে গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। রেবা বিশ্বাসের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রতিবাদ জানাতে বিশ্বাস পাড়ায় ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে আত্মহত্যা প্ররোচিত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, জেলায় জেলায় আবাস যোজনার তালিকায় স্বজন-পোষণের অভিযোগ উঠছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান চম্পা বৈরাগীর স্বামী পলাশ বৈরাগীর নাম রয়েছে এই তালিকায়। পেশায় মাছ ব্যবসায়ী পলাশ ও চম্পার দোতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তালিকায় নাম ওঠায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ভঙ্গপ্রায় মাটির বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন, এমন অনেক পরিবারেরই তালিকায় নাম নেই। চম্পা বৈরাগীর ব্যাখ্যা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২০১৮-য় তাঁর বাড়ি ভেঙে যায়। পরে তিনি তা তৈরি করেছেন। এখন আর আবাস যোজনার বাড়ি প্রয়োজন নেই তাঁর।
একই অভিযোগ উঠেছে, পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষের শাঁখারি এক নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপ-প্রধান জাহাঙ্গীর শেখের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ গ্রামে জাহাঙ্গীরের চারতলা ঝাঁচকচকে বাড়ি। আর্থিকভাবে যথেষ্ট স্বচ্ছল তিনি। তা সত্ত্বেও জাহাঙ্গীরের স্ত্রী, দুই ভাই, এমনকি তাঁর মৃত বাবার নামও রয়েছে তালিকায়। ওই উপপ্রধান দাবি করেছেন, ভুল করে তালিকায় নাম উঠেছে। বিষয়টি নজরে আসা মাত্র নামগুলি বাদ দেওয়া হয়েছে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট