বিরোধী বন্ধুরা সবসময় ঘোলা জলে মাছ ধরতে তৎপর, রামপুরহাটের ঘটনায় ফিরহাদ হাকিম


বুধবার,২৩/০৩/২০২২
909

অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে আমাদের বিরোধী বন্ধুরা সবসময় ঘোলা জলে মাছ ধরতে তৎপর হয়ে ওঠেন। রামপুরহাটের ঘটনায় বিরোধীদের উদেশে সাংবাদিক দের প্রশ্নে জানান তৃণমূলের জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। গতকালই তিনি রামপুরহাট গিয়ে পরিস্তিতি খুঁটিয়ে দেখতে 2 বিধায়ক কে সঙ্গে নিয়ে গি়য়েছিলেন। গতকাল রাতে সেখান থেকে ফিরে আজকে তিনি জানান যে নিশ্চই এই ঘটনা আমরা কেউ সমর্থন করি না। এই ঘটনার পেছোনে কি চক্রান্ত আছে, পুলিশ প্রশাসন কে খুঁটিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। কিন্তু বাংলা কে বদনাম করার জন্য সবাই যে হইহই করে উঠছে এটা ঠিক নয়। বিজেপির বন্ধু দের কি মুখ বন্ধ ছিল যখন উত্তর প্রদেশে আট জন কে এনকাউন্টার করে মেরে দেওয়া হয়েছিল। যখন মন্ত্রীর পুত্র কৃষক দের উপরে গাড়ি চড়িয়ে দিয়ে হত্যা করে ছিল। যখন মনীষা বাল্মীকি কে খুন করে ধর্ষণ করে তাদের মা বাবার অনুমতি ছাড়া পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।তখন বিজেপি কোথায় ছিল আর আমাদের রাজ্যপাল সাহেব কোথায় ছিলেন বলে পাল্টা প্রশ্ন করেন ফিরহাদ হাকিম।আর অস্তিত্বহীন সিপিএম এখন সেলিম সাহেব এসছেন, তিনি চাইছেন একটু নাচানাচি করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যায় বলে এদিন বামেদের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বাংলার মানুষ বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন ছিলেন আর থাকবেন। তাই 2021 এত বড় ফলাফল দিয়ে তারা পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বলেন তিনি। তাই ঘোলা জলে মাছ ধরে লাভ নেই।

এই ঘটনায় তদন্ত হবে দোষীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। আর পুলিশ প্রশাসন এই সব ঘটনার প্রতিরোধ করবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।রাজ্যপালের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ করে বলেন তাহলে তিনি কেন চুপ করেছিলেন যখন যোগীর রাজ্য ঘটনাগুলি ঘটে ছিল। যখন সেখানে এনকাউন্টার হয়েছিল তখন কেন যোগী সাহেব কে ধিক্কার জানাননি তিনি। সুতরাং এইসব বেকার কথা বলে লাভ নেই সবাই পক্ষপাতিত্ব করছে। ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। কিন্তু রাজ্য সরকার তৎপর এই ঘটনা যারাই দোষী তাদের কে শাস্তি হবেই বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।রাজ্যপালের সিট নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরার বিষয় ফিরহাদের পাল্টা অভিযোগ তিনি বলেন তাহলে রাজ্যপাল পক্ষপাতিত্ব করছেন সেটা বোঝায় যাচ্ছে। যিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তিনি তার রাজ্যের প্রশাসনের উপরে যদি আস্থা

না থাকে তাহলে সেই রাজ্যপাল কে বাংলা থেকে চলে যাওয়া ভালো বলে রাজ্যপাল কে পাল্টা জবাব দেন তিনি। রাজ্যপালের মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি দিয়ে ভুল না ধরিয়ে দেওয়ার বিষয় তৃণমূলের জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য ফিরহাদ হাকিম বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন অযথা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। রাজ্যপাল কে রাজ্যের কোনো মানুষ তাকে পাত্তা দেয়না। রাজ্যপাল কে এদিন তার চিঠির প্রতিক্রিয়া দিয়ে তিনি বলেন চিঠি আর টুইট করে বিভ্রান্তি তৈরি করবেন না। আপনি আপনার কাজ করুন মুখ্যমন্ত্রী কে তার কাজ করতে দিন। তার জন্যেই এই চিঠি দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বলে জানান ফিরহাদ হাকিম। দিলীপ ঘোষের তার 200 থেকে বেশি বিজেপি কর্মীর খুন কে নিয়েও এদিন ফিরহাদ বলেন যে বিজেপির কোনো 200 কর্মী মারা যাননি। আজ পর্যন্ত একটা তালিকা তারা দিতে পারেননি বলে পাল্টা উত্তর দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এদিন জানান যে যেটা হয় তো গ্রামীণ বিবাদ সেখানে হয় তো কে মরা গেছে। সেটা কে দেহ ধরে টানাটানি করেছে দিলীপ দা রা বললেন ফিরহাদ হাকিম। এটা একটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।ফিরহাদ বলে এই ঘটনা কাম্য নেই ,সিট এর দক্ষ পুলিশ আধিকারিক রা তদন্ত করছে। দোষীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে তাদের কে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট