বিকাশ সাহাঃ উপ পৌরপতির পদ নিয়ে ক্ষোভের জেরে দীপা দাসমুন্সীর নামের উপর কালীর প্রলেপ দেওয়া হল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে। ২০০৯ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারী কালিয়াগঞ্জের মহাদেবপুর টায়ার কোম্পানী এলাকায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়, বিধান ভবনের সামনের দেওয়ালে উদ্বোধনী ফলকে উদ্বোধক হিসেবে দীপা দাসমুন্সীর নাম ছিল। যা ভোটের ফলফলের পরেও জ্বলজ্বল করছিল। উপ পৌরপতি হিসেবে শপত নেওয়ার পর হটাত করে দাসমুন্সী পড়িবারের খাস তালুকে দীপা দেবীর নামের উপরে কালির প্রলেপ সকলের নজরে আসতেই রাজনৈতিক মহলে নানান জল্পনা শুরু হয়েছে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পঞ্চমবার জয়ী কংগ্রেসের কাউন্সিলার বসন্ত রায়। যিনি প্রাক্তন উপ পৌরপতি। কিন্তু এবার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় ১৭ টি আসনের মধ্যে ১৫ টি আসনে কংগ্রেস জয়লাভ করার পর উপ পৌরপতির পদ নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়ে যায়। এবারের পৌরসভা নির্বাচনে জয়লাভ করলেও শেষ পর্যন্ত প্রবীণ বসন্ত বাবুর হাত থেকে উপ পৌরপতির দায়িত্ব চলে যায় পৌরপতি অরুন দে সরকারের ঘনিষ্ঠ তথা প্রথমবার জয়ী ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কার্ত্তিক পালের হাতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হলে উদ্বোধনী ফলকে দীপা দাসমুন্সীর নামের উপর কালির প্রলেপ লাগিয়ে দেন। যা সাংবাদিকদের সামনে কার্যত স্বীকার করে নেন বসন্ত বাবু।
প্রাক্তন উপ পৌরপতি তথা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বসন্ত রায় বলেন, উপ পৌরপতি ঘোষণার পরে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস কর্মীরা এমন কাজ করে ফেলেছে। যারা একাজ করেছে তাঁদের আমরা বুঝিয়ে শান্ত করেছি।
বসন্ত বাবুকে উপ পৌরপতির না করার জন্য তিনি কি কংগ্রেস ছেড়ে অন্য কোনও দলে যাওয়ায় চিন্তা ভাবনা করছেন? সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে বসন্ত বাবু বলেন কংগ্রেস ছেড়ে অন্য কোনও দলে যাওয়ার এখনি কোনও চিন্তা ভাবনা নেই।
কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতির অরুন দে সরকার বলেন, কালিয়াগঞ্জে কংগ্রেসের মধ্যে কোনও ক্ষোভ বিক্ষোব নেই। কর্মীরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কালির দাগ তুলে ফেলা হবে।
উপ পৌরপতির পদ নিয়ে ক্ষোভের জেরে দীপা দাসমুন্সীর নামের উপর কালীর প্রলেপ দেওয়া হল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে
মঙ্গলবার,০৯/০৬/২০১৫
783