প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়েই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে চায় রাজ্য সরকার


সোমবার,০৭/০৬/২০২১
755

প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়েই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে চায় রাজ্য সরকার। এজন্য 24 সদস্যের কমিটি গঠন করল নবান্ন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে পরিবেশবিদ কল্যাণ রুদ্রকে। দুর্যোগ মোকাবিলায় কমিটি ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রকৃতিই সহায়’।  ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ পরবর্তী সময় থেকে এই কথা বলে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই কথাকেই বাস্তবায়নের পথে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকৃতি কীভাবে দুর্যোগ রুখতে পারে, তা নিয়ে পরিকল্পনা করতে এবং বাস্তবায়ন করতে ২৪ জনের বিশেষ কমিটি গঠন করল রাজ‍্য সরকার। কমিটির মাথায় রয়েছেন পরিবেশবিদ কল্যাণ রুদ্র। বাকি সদস্যরা হলেন কলকাতা, যাদবপুর-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি।

সোমবার নবান্নে একাধিক বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি জানিয়েছেন, প্রাকৃতির দুর্যোগ মোকবিলায় দিঘা, সুন্দরবনের জন্য মাস্টারপ্ল্যানের আবেদন কেন্দ্রের কাছে জানানো হয়েছে। যশের জন্য প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এখনও জল জমে রয়েছে। এত জল জমেছে যে বের করা সহজ নয়। ১১ তারিখ বান আসছে। ২৬ তারিখের বানে যশের চেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে। তাই পদক্ষেপ করা হবে। বহু জায়গায় নিচু এলাকায় থাকা টিউবওয়েল খারাপ হয়েছে। পূর্ত দফতর দেখবে উঁচু জায়গায় টিউবওয়েল বসানো যায় কিনা।

ইটভাঁটাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ১০০ দিনের কাজ বাড়ানো হবে। যশ পরবর্তী পরিস্থিতিকে সামাল দিতে ১০০ দিনের কর্মীদের কাজ করতে হবে। এজন্য মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যশ পরিস্থিতি মোকাবিলার ৫০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হবে ১০ জুন। মহেশতলা এলাকার কাজ শেষ হতে লেগে যাবে ২৩ জুন। মৌসুনি ও সাগর দ্বীপের কিছুটা অংশের কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। মৌসুনি ও সাগর দ্বীপে ২০ হাজার লোক আছে। ১১ তারিখের আগে তাঁদের সরানো হবে। ১৮ জুন পর্যন্ত ত্রাণের আবেদন নেওয়ার কাজ চলবে, যেখানে বান আসবে সেখানে ১১-১২ জুন আবেদন গ্রহণের কাজ বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে ৭৬ হাজার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।

ভেটিবার ঘাস রোপণের পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকায় ৫ কোটি করে ম্যানগ্রোভের চারা বসানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না-করে ডিভিসি যেন জল না ছাড়ে। কারণ, তিন জায়গা থেকে জল এলে সামাল দেওয়া যাবে না। তাই প্রতিনিয়ত নজর রাখা হবে। পাশাপাশি, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে এমন ১৭৫টি ব্লকে কুইক রেসপন্স টিম, ত্রাণ শিবির তৈরি করা হবে। পশুদেরও উদ্ধার করা হবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট