ফের প্রভাবশালী তত্ত্বে শুনানি অধরা , পরবর্তী শুনানি আগামীকাল দুপুর ২ টো


বুধবার,১৯/০৫/২০২১
1313

গ্রেফতার ৪ প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রীর প্রভাব এতটাই বেশি যে, তাঁদের যাতে সশরীরে হাজিরা না দিতে হয়, তার আর্জি করেন আইনজীবীরা। ভার্চুয়ালি হাজিরা দেওয়ার প্রস্তাবও রাখা হয়। আইনমন্ত্রী নিজে আদালতে যান। এমন নজির আগে দেখা যায়নি। এতে আইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আদালতে বললেন মেহতা। সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, সেদিনের বিশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ছিল। নিজামে প্রচুর মানুষ এসে ভিড় করেছিলেন। অফিসারদের পক্ষে তাই বাইরে আসা সম্ভব হয়নি। বেআইনি ভাবে ভিড় করে বিক্ষোভ দেখানো উন্মত্ত জনতাকে সামলানোও সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়েই অভিযুক্তদের ওখানে রাখা হয়। পরে মুখ্যমন্ত্রী নিজে সেখানে পৌঁছে যান। বলেন, ‘‘আমাকেও গ্রেফতার করুন।’’ এরপর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। তুষারের কথায়, ‘‘সিবিআইয়ের বিচারককে এই পরিস্থিতিতে জামিনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।’’দল বেঁধে মুখ্যমন্ত্রী আরও লোকজন নিয়ে সিবিআই দফতরে ঢুকে যান। তাঁকে গ্রেফতার করার দাবি জানান। ধর্নাতেও বসে যান। এটা নজিরবিহীন, বলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তাঁর কথায় এটা সাধারণ মামলা নয়। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসছেন। এটা কি হতে পারে? এরপর থেকে সাধারণ গ্রেফতারেও তো এটা ট্রেন্ড হয়ে যাবে। তুষার বলেন, অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তের সুযোগ দেওয়া হোক।

এরকম অনেক মামলায় বিক্ষোভ হয়। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জড়িত ঘটনায় মানুষের ক্ষোভ থাকেই। এটা ঠিকই এ ধরনের বিক্ষোভ দেখানো উচিত নয়। তবে এই বিক্ষোভকে যে ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে তা-ও ঠিক নয়, বললেন ফিরহাদ, সুব্রতদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।অভিষেক বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য অশান্তি হয়নি। বরং তিনি এবং অন্য বিধায়কেরা অশান্তির বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা কর্মীদের বার বার শান্ত থাকতে বলেছেন। কোনও প্ররোচনা দেওয়ার উদাহরণ নেই। আসলে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর সহকর্মী। তাই হয়তো মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন। এ নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে। অভিষেককে বিচারপতির পাল্টা প্রশ্ন, সহকর্মী মানছি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তো অল্প সময়ের জন্য যাননি। ৫-৬ ঘন্টা ছিলেন নিজাম প্যালেসে। এ ব্যাপারে আপনি কী বলবেন? কেন শুনানি চলাকালীন নিম্ন আদালতে ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী? প্রধান বিচারপতি জানতে চাইলেন, আপনি কী বলতে চান এটা গুরুতর নয়। আমাদের পর্যবেক্ষণে পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক থাকত। তা হলে অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে আসা যেত। কিন্তু তা হয়নি। এ দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।

অভিষেক বলেছেন, আইনমন্ত্রী নিম্ন আদালতে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু মন্ত্রীর হওয়ার পাশাপাশি তিনি বিধায়ক। সেখানে এই ঘটনাটিকে অস্বাভাবিক ভাবে দেখব কেন? অনেক বিধায়ক তো এমনও বলছেন, আমাদের সতীর্থদের ধরে নিয়ে যাওয়া হল কারণ হারটা ঠিক হজম হয়নি।অভিষেক বললেন, সিবিআই দফতরে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ায় কোনও প্রভাব খাটানো হয়েছে বলে মনে করি না। এটি কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিস। মুখ্যমন্ত্রী যদি কলকাতা পুলিশ বা রাজ্য পুলিশের দফতরে বসে থাকতেন, তা হলে বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার অভিযোগ মানা যেত।গণতান্ত্রিক দেশে লোক রাস্তায় নেমেই প্রতিবাদ করে। আইনকে নিজের পথেই চলতে দেওয়া উচিত, বললেন সিঙ্ঘভি।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট