বাগবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত রামকৃষ্ণ মিশন


বৃহস্পতিবার,১৪/০১/২০২১
907

বুধবার সন্ধ্যায় বাগবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মায়ের বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। আগুন থেকে মায়ের বাড়ি সম্পূর্ণ রক্ষা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজি মহারাজ। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বাগবাজারের বস্তিবাসী ও সাধারণ মানুষের প্রতিও মঠের তরফ থেকে সমবেদনা জানিয়েছেন। তবে মঠের উদ্বোধন কার্যালয়ের দোতলা ও তিনতলায় সামান্য ক্ষতি হলেও তা দ্রুত পুনরুদ্ধার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি বাগবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যের জন্য রামকৃষ্ণ মিশনের ত্রাণ বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।গতকাল সংবাদ মাধ্যমের একাংশে মায়ের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বলে সংবাদ পরিবেশিত হয় বলে অভিযোগ। এই খবরে বিশ্বব্যাপী রামকৃষ্ণ মিশনের ভক্ত ও অনুরাগীদের মধ্যে চরম উৎকন্ঠা ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। উদ্বোধন কার্যালয়ের একাংশে ক্ষতি হলেও মায়ের বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি বলে এদিন সকলকে আশ্বস্ত করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক। এদিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত তিনি জানান, ১৩ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ফলে বাগবাজারের বস্তিটিতে যে সমস্ত মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছেন তাঁদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।

এই অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের আমরা যথাসম্ভব সাহায্য করতে পরিকল্পনা করেছি। এই অগ্নিকাণ্ডে আমাদের বাগবাজার কেন্দ্র তথা ‘মায়ের বাড়ী’র খুব কাছাকাছি ঘটায় মায়ের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কোথাও কোথাও প্রচার হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আমরা নিশ্চিত ভাবে জানাই যে ‘মায়ের বাড়ী’ ( যে ঐতিহাসিক বাড়ীটিতে শ্রীশ্রীমা বাস করতেন ) সেই বাড়ীটি সম্পূর্ণ অক্ষত ও সুরক্ষিত রয়েছে।মায়ের বাড়ীর নিকটবর্তী রাস্তার বিপরীতে ‘উদ্বোধন’ বাড়ী যেটিতে প্রকাশনা বিভাগ ও ‘ ‘সারদানন্দ হল’ নামে সভাগৃহ রয়েছে অগ্নিকাণ্ডে ঘটে তারই পাশে। সৌভাগ্রক্রমে , এই বাড়ীটির বেশি কিছু ক্ষতি হবার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই বাড়ীটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় কয়েকটি জানালা ও  দড়জা এবং বাতানুকূল যন্ত্র ( এসি মেশিন) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বাড়ীটির আর কোনও ক্ষতি হয়নি। সেই বাড়ীটিতে যে সমস্ত কম্প্যুটার বা অন্যান্য যন্ত্র ছিল এবং এখানে মজুত করে রাখা উদ্বোধন কার্যালয়ের বইগুলিরও কোনও ক্ষতি হয়নি। এখানে যে সমস্ত সাধু, কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন তাঁরাও সম্পূর্ণ সুস্থ ও সুরক্ষিত আছেন। 

এই উপলক্ষে আমরা প্রশাসন ও অগ্নিনির্বাপণে সহায়ক সকলকে ধন্যবাদ জানাই। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সকল আধিকারিকদের প্রতি তাঁদের সহায়তা ও সহৃদয়তার জন্য আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট