বাংলাদেশে শিশুদের চকলেট তৈরি হয় কারখানার রঙ দিয়ে ?


বৃহস্পতিবার,১৪/০১/২০২১
546

ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার থানার ইসলামবাগ এলাকার কামালবাগে অবৈধভাবে নোংরা পরিবেশে চকলেটসহ বিভিন্ন শিশু খাদ্য উৎপাদনের অভিযোগে চারটি চকলেট কারখানায় অভিযান চালিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অভিযানে দেখা গেছে, চকলেট তৈরির উপদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে মোম ও প্যারাফিন কেমিকেল, যা কসমেটিকস বা তেল উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল রঙ, ফ্লেবার, হাইড্রোজ কেমিক্যাল, গ্লিসারিন, সাইট্রিক এসিড পাওয়া গেছে।এর কারণে কিডনি, লিবার ড্যামেজ ও ক্যানসারসহ বদ হজম, চর্মরোগ হতে পারে। অভিযানে দুটি কারখানার মালিকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সুবেল লজেন্স ফ্যাক্টরির মালিক সোহেল ব্যাপারী, প্রধান কারিগর জাহের দফাদার, আবির ফুড প্রডাক্টের প্রধান কারিগর আব্দুস সালাম, কবির ফুড প্রডাকস এর প্রধান কারিগর ইয়াসিন, শহিদ ফুড প্রডাকসের মালিক মোহাম্মদ তারেক।

বুধবার দুপুরে শুরু হওয়া অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। অভিযান বিকাল তিনটা পর্যন্ত চলে। এছাড়া অভিযানে বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের বিষয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু ঢাকা টাইমসকে বলেন, পুরান ঢাকার চকবাজা থানার ইসলাম বাগের কামাল বাগ এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চারটি চকলেট কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এসকল কারখানার কোনও ধরনের অনুমোদন ছিলো না। এখানে একটি চক্র কাজ করছে। তারা বিপজ্জনক শিশু খাদ্য উৎপাদন, বাজারজাত করণ ও বিক্রয় করতো। এই চক্রের একটি শক্তিশালী বাজার রয়েছে। তারা এই অসুস্থকর খাবারগুলো সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে। আজকের অভিযানে বিএসটিআই ও নিরাপদখাদ্যের একজন করে কর্মকর্তা উপস্থিত আছেন।

তিনি আরও বলেন, শিশুদের প্রিয় এই খাদ্যটি কোনো ভাবেই বিএসটিআই এর অনুমোদ ছাড়া উৎপাদন করা যাবে না। কিন্তু তারা সরকারি কোনো লাইসেন্স নেয়নি। এই চকলেটগুলো উৎপাদনের জন্য যে ধরনের কাঁচামাল পেয়েছি সেটি সত্যি দুঃখজনক। একই সঙ্গে চিন্তার বিষয় আমাদের শিশুরা কি খাচ্ছে। অভিযানে চকলেটের কাঁচামাল হিসেবে মোম পাওয়া গেছে যা কোনো অবস্থাতেই খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। প্যারাফিন কেমিকেল পাওয়া গেছে যা কসমেটিকস বা তেল উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং, ফ্লেবার, হাইড্রোজ কেমিক্যাল, গ্লিসারিন, সাইট্রিক এসিড পাওয়া গেছে, যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এধরনের খাবারে কিডনি, লিবার ড্যামেজসহ ক্যানসার হতে পারে। এছাড়া চর্মরোগ, বদ হজম, দুর্বলতাসহ শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীর চকবাজার থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট