জীবন যুদ্ধে হার না মানায় হাসপাতালের নার্সরা আদর করে নাম রেখেছিল জয় । প্রায় দেড় মাস পর হাসপাতলে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে বড় হয়ে ওঠার পর আজ সেই জয় সবার চোখের জল ফেলিয়ে গেল মানিকপাড়া নিবেদিতা গ্রামীণ কর্মমন্দিরে । শুক্রবার থেকে জয়ের নতুন ঠিকানা হলো মানিকপাড়া ওই সরকারি হোমটি তে । হাসপাতাল সূত্রে খবর , গত ২১ শে নভেম্বর গোপীবল্লভপুর এর একটি জঙ্গলে এক সদ্যজাত শিশু উদ্ধার হয় । শিশুটিকে উদ্ধার করে গোপীবল্লবপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয় কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় ঐদিন এই শিশুটিকে ঝাড়গ্রামের জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল স্থানান্তর করা । জানা গিয়েছে , শিশুদের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ । ঐদিন এই শিশুটিকে এস এন সি ইউ বিভাগে ভর্তি করানো হয় । হাসপাতালে এস এন সি ইউ বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক সুদ্বীপ রায় বলেন, শিশুটি গ্যাসপিং অবস্থায় এসেছিল , বাঁচানো খুবই মুশকিল ছিল, সেই জায়গা থেকে আমরা ধীরে ধীরে শিশুটিকে সুস্থ করে তুলেছি । এর পুরোটাই কৃতিত্ব হাসপাতালে নার্স ও অস্থায়ী কর্মীদের ।
প্রায় দেড় মাস পর এদিন জয় কে নতুন জামা কাপড় পরিয়ে দেন হাসপাতালে নার্সরা । তারপরে চোখের জলেই জয় কে মানিকপাড়া নিবেদিতা গ্রামীণ কর্ম মন্দিরের কর্তীদের হাতে তুলে দেন ঝাড়গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা । উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার । মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা জানিয়েছেন , গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে দেড় মাস আগে এই শিশুটি এখানে এসেছিল । শিশুটিকে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে সুস্থ করে তুলেছি । এর পুরোটাই কৃতিত্ব হাসপাতালে নার্স ও চিকিৎসকদের । এদিন সরকারি নিয়ম মেনে আমরা শিশুটিকে হোম এর হাতে তুলে দিয়েছি । ওর নাম রাখা হয়েছে জয় । আগামী দিনে ভবিষ্যত উজ্জ্বল হয় এই আশা রাখি ।