ত্রিকোণ প্রেমের পরিণতিতেই খুন। গোলাবাড়ির ঘটনায় এমনই অনুমান পুলিশের


সোমবার,০৪/০১/২০২১
535

ত্রিকোণ প্রেমের পরিণতিতেই খুন। গোলাবাড়ির ঘটনায় এমনই অনুমান পুলিশের। শনিবার গোলাবাড়ির চাউলপট্টি ঘাটে উদ্ধার হয় এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের বস্তাবন্দি দেহ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ত্রিকোণ প্রেমের কারণেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। মৃত শ্রমণ সিং(৪০) ঘুসুড়ির কুলি লেনের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী পিঙ্কিদেবী(৩২)র সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে সম্পর্ক গড়ে ওঠে গোলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আমন গুপ্তার(৩০)। এমনকি দ্বিতীয় স্বামী শ্রমণকে ছেড়ে আমনকে বিয়ে করার জন্যেও প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন পিঙ্কি। সেই কথা জানতে পেরেই অশান্তি শুরু হয়। এই কারণেই প্রেমিক আমনের সঙ্গে মিলে শ্বাসরোধ করে শ্রমণকে ঘুসুড়ির বাড়িতেই ১জানুয়ারি রাতে খুন করেন পিঙ্কি। প্রাথমিকভাবে এমনই অনুমান পুলিশের। ভোররাতে একটি বাইকে করে আমন ও পিঙ্কির মেয়ে বস্তাবন্দী দেহটি নিয়ে গঙ্গার নির্জন ঘাটে ফেলে যায়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ মৃত শ্রমন সিং এর স্ত্রী পিঙ্কিদেবী, তার মেয়ে অংশুকুমারী ও পিঙ্কিদেবীর প্রেমিক আমন গুপ্তাকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার এই ঘটনা নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন হাওড়া সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর), অনুপম সিং। উল্লেখ্য, শনিবার ভোরে হাওড়ার গোলাবাড়ির চাউলপট্টি ঘাটে বস্তাবন্দি দেহটি উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ অনুমান করেছিল খুন করে দেহটি বস্তায় ভরে ফেলা হয়। যেখানে বস্তায় মোড়া দেহটি পড়েছিল তার পাশেই একটি বুলেট মোটর বাইক রাখা ছিল। মৃতের পরিচয় প্রথমে জানা যায়নি। ঘাটের জগন্নাথ মন্দিরের পুরোহিত প্রথম বস্তাবন্দি অবস্থায় দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। ভোর থেকেই দেহটি সেখানে পড়েছিল। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আসে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখে তদন্তে নামে পুলিশ। অবশেষে ঘটনায় সাফল্য পায় পুলিশ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট