ঝাড়গ্রাম:- রবিবারের দুপুরে গোপীবল্লভপুরে বিজেপির যোগদান মেলায় গিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের নব্য সদস্য শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ সেই মঞ্চ থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তৃণমূল সরকারকে তোপ দাগেন শুভেন্দু৷ এই সভা থেকেই পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে মমতা সরকারকে বিদ্ধ করেন শুভেন্দু৷ পঞ্চায়েত ভোটের কথা তুলে বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর৷ বলেন, পুলিশকে ব্যবহার করে মধ্যরাতে বিজেপিতে ছাপ দেওয়া ব্যালটকে জোড়াফুল বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
শুভেন্দু তোপ দেগে বলেন, শৌচালয় তৈরির যে টাকা কেন্দ্র থেকে এসেছে তা মেরে খেয়ে নিয়ে তৃণমূলের পঞ্চুরা৷ এভাবেই তারা গরিব মানুষদের বঞ্চনা করেছে৷ শুভেন্দুর কথায়, জঙ্গলমহলের মানুষেরা ছোট ছোট ঘরে থাকেন৷ সেই ঘরগুলোর মাঝখানে একটা আধটা দোতলা তিনতলা বাড়ি রয়েছে যা তৃণমূলের পঞ্চুদের৷ যে ভাঙা সাইকেলে চাপত সে এখন তিনটে স্করপিওর মালিক৷ তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের পঞ্চুরা আইসিডিএসএর চাকরিও নিজের ঘরের বাইরে কাউকে দেয়নি৷ এতটা নির্দয় ও সহানুভূতিহীন৷ চার-পাঁচ হাজার টাকা মাইনের কন্ট্রাকচুয়াল কাজ দিয়ে পাঁচ-সাত লাখ টাকা নিয়েছে৷
এদিনের মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু এদিন বলেন, জঙ্গলমহলে বিজেপি অনেক শক্তিশালী৷ আরও শক্তিশালী করব৷ ২০ হাজারে জিতে থাকলে ৫০ হাজারে জেতাব৷ ৫০ হাজরে জিতে থাকলে ৮০ হাজারে জেতাব৷ একইসঙ্গে শুভেন্দু বলেন পিসি-ভাইপো কোম্পানি এতদিন তাঁকে জঙ্গলমহলে আসতে দেয়নি৷ পিসি- ভাইপোর পার্টিকে হারাতেই হবে, চরম হঁশিয়ারি শুভেন্দুর৷আগামী মকরে আসছে। প্রতি বছর আসতাম। এই দু-তিন বছর পিসি-ভাইপো কোম্পানি আমাকে জঙ্গলমহলে আসতে দেয়নি। এবারে মকরের দিন আসব। পিঠা গাড়িতে তুলে নিয়ে খেতে খেতে বাড়ি যাব। সবাই ভালো থাকবেন। টুসু, বাঁধনা, করম সবেতে আসি। জঙ্গলমহলের মানুষের সঙ্গে ঝুমুর গানও শুনি। মাদল-ধামসার সঙ্গে নাচি। এখানকার মানুষ এত ভালো, এত সুন্দর, এত সহজ-সরল। এরাই প্রতিবাদের অভিমুখ। আপনারা পঞ্চায়েতে, লোকসভায় করেছেন। এবার বিধানসভায় একেবারে ঝক্কায় বুথগুলিতে তৃণমূল নয় বিজেপি নয়ে নব্বই।