গত ৪০ বছর ধরে চলে আসা রেলের কম্পিউটারাইজড আসন সংরক্ষণ কেন্দ্র বেলুড় মঠ থেকে তুলে নেওয়া হতে পারে। মৌখিকভাবে এমন কথা জানা গেলেও রেলের দাবি এনিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে, যাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক তা মঠের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হবে। যদিও শনিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অসুবিধার কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বেলুড় বালি অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। মূলত খরচের কারণেই ৪০ বছরের পুরানো ওই টিকিট কাউন্টারটি সরিয়ে নেওয়া হতে পারে জানা গিয়েছিল। এই টিকিট কাউন্টারটি থাকায় সকলেরই খুব সুবিধা হত। যদিও এ বিষয়ে পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কমল দেও দাস জানান, ওই কম্পিউটার পরিচালিত আসন সংরক্ষণ কার্য্যালয়টি বন্ধ করে দেওয়া হবে এমন কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। যা কিছু করা হবে সেটা বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই করা হবে। এখনও পর্যন্ত এনিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। উল্লেখ্য, চারদশক আগে ১৯৮০তে বেলুড়ে বিশ্ব ধর্মমহাসভা উপলক্ষে অসংখ্য ভক্ত ও প্রতিনিধিদের সমাগম উপলক্ষে আগত অতিথিদের সুবিধার জন্য ওই সংরক্ষণ কেন্দ্র রেলের পক্ষ থেকেই চালু করা হয়েছিল বেলুড় মঠে। পরবর্তীতে ওই আসন সংরক্ষণ কেন্দ্রে কম্পিউটারাইজড আসন সংরক্ষণ কেন্দ্রও চালু করা হয়। প্রবীণ সন্ন্যাসী, দেশীয় ও বিদেশী ভক্তদের সুবিধার জন্য এই কেন্দ্র গত ৪০ বছর ধরে পরিষেবা দিয়ে চলেছে। সপ্তাহে রবিবার ছাড়া কাজের দিনগুলিতে সকাল ৮টা থেকে বেলা ২ টো পর্যন্ত এখানে পরিষেবা পাওয়া যেত। তবে, অতিমারীর কারণে গত মার্চের শেষ থেকে কেন্দ্রটি একটানা বন্ধ রয়েছে। যাত্রীদের দাবি, বেলুড় বালি এলাকার বাসিন্দা এবং বেলুড় মঠে আসা দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে এই কাউন্টার চালু রাখা হোক। প্রয়োজনে বেলুড় মঠ সংলগ্ন রেল স্টেশনেও যদি স্থানান্তরিত করা হয় তাহলেও মঠের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সুবিধা হবে।
কম্পিউটারাইজ আসন সংরক্ষণ কেন্দ্র বেলুড় মঠ থেকে তুলে নেওয়ার আশঙ্কা
শনিবার,০২/০১/২০২১
637