“রাতের অন্ধকারে পুলিশ নিয়ে গিয়ে তৃণমূলকে জেতানো হয়েছে”- শুভেন্দু


সোমবার,২৮/১২/২০২০
978

ঝাড়গ্রাম : ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদ, পুরুলিয়া জেলা পরিষদ ভারতীয় জনতা পার্টি দখল করত । কিন্তু রাতের অন্ধকারে পুলিশ নিয়ে গিয়ে তৃণমূলকে জেতানো হয়েছে । এদিন ঝাড়গ্রামে এসে তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগদান করা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এ কথা বলেন ।

দলবদলের পর আজ বিকেলে  ঝাড়গ্রামের মাটিতে পা রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে দাদার অনুগামী এবং বিজেপি কর্মীরা ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি থেকে বাইক মিছিল করে শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপি পার্টি অফিস পর্যন্ত নিয়ে আসেন। প্রায়ই হাজারটি বাইক নিয়ে উৎসাহিত কর্মীরা এদিন বাইক রেলী করে নিয়ে আসেন। শুভেন্দু অধিকারী আসার সময় রাস্তায় ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মামুনি মুর্মু সহ তৃণমূলের কর্মীরা ঝাড়গ্রামের গাডরো মোড়ে বিক্ষোভ দেখায় এবং “শুভেন্দু অধিকারী দূর হাঁটাও”শ্লোগান দিতে থাকে। এরপরই শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় ঝাড়গ্রাম শহরে প্রবেশ করা মাত্রই তৃণমূলের কর্মীরা কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এদিন শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি সম্পর্কে আমি বলতে পারব না। তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া নিয়ে তিনি জানান, হ্যাঁ আমি দেখেছি পাঁচজন ছিল তার মধ্যে দুজন কে আমি চিনি, নমস্কার করেছি, তারা আমাকে দেখে মাথাটা নামিয়ে নিয়েছে, ভালো লেগেছে। ৭ই জানুয়ারি নেতাই দিবস প্রসঙ্গে তিনি জানান, নেতাই দিবসে আমার কর্তব্য আমি পালন করি কারণ নেতাই গ্রামের লাশটা এসে আমিই কুড়িয়েছিলাম। সেদিন আমি একাই এসে লাশ কুড়িয়েছিলাম।

নেতাই গ্রামের শহীদ বেদীটাও আমার তৈরি করা। অতএব নেতাই নিয়ে আমাকে কারোর কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে না। ভোট প্রসঙ্গে তিনি জানান, এখানে বিজেপির নেতারা অনেকটাই এগিয়ে রেখেছেন, এখানেতো জেলা পরিষদ বিজেপির জিতেছিল, রাতে পুলিশ নিয়ে গিয়ে গননাতে হারানো হয়েছিল, আমি তার সাক্ষী। এদিন তিনি আরো বলেন, ঝাড়গ্রাম জেলায় যে চারটা বিধানসভা আছে সেখানে প্রত্যেকটাতে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবে ভারতীয় জনতা পার্টি। আমি এসেছি মার্জিন বাড়ানোর জন্য, জেতার জন্য নয়, জেতার জন্য এরাই কাফি। ছত্রধর মাহাতো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী লোকের সম্পর্কে আমি মন্তব্য করব না। যারা ঝাড়গ্রাম শহর ৩৭ দিন ধরে অবরোধ করে রেখেছিলেন সেসব লোক সম্পর্কে আমি মন্তব্য করব না। যাদের পরিবারের মানুষকে তারা এখনও খুজে পাননি, খুন হয়ে গিয়েছেন সেসব লোক গুলোই এসব লোকের সম্পর্কে উত্তর দিতে পারবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট