অকাল প্রয়াণ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা ঝাড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক ডাক্তার সুকুমার হাঁসদার, শোকস্তব্ধ ঝাড়গ্রামবাসী !


বৃহস্পতিবার,২৯/১০/২০২০
790

ঝাড়গ্রাম : অকাল প্রয়াণ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা ঝাড়গ্রামের তৃণমূলের বিধায়ক ডাক্তার সুকুমার হাঁসদার, শোকস্তব্ধ ঝাড়গ্রামবাসী! মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। রাজনৈতিক পরিবারে বড় হয়ে ওঠেছেন সুকুমার হাঁসদা। বাবা সুবোধ হাঁসদা ছিলেন কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম লোকসভার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর শ্বশুরমশাই ছিলেন বাংলা কংগ্রেসের আমলে বনমন্ত্রী। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল বেলপাহাড়ীর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে। দীর্ঘদিন সেখানে চিকিৎসা করেছেন। পরবর্তী কালে ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালে বদলি হয়ে আসেন। চাকুরি থেকে স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার আগে অবধি তিনি ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। ২০১১ সালে শুভেন্দু অধিকারির অনুরোধে চিকিৎসকের পেশা থেকে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন সুকুমারবাবু। ২০১১ সালে ঝাড়গ্রাম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী হন। পরবর্তী কালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী করেন। ২০১৬ সালেও তিনি ঝাড়গ্রাম থেকে জয়লাভ করেন।

বর্তমানে তিনি রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকবার্তায় জানিয়েছেন,‘পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার উপাধ্যক্ষ ডাঃ সুকুমার হাঁসদার প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর সারা জীবন আদিবাসীদের উন্নয়নব্রতে উৎসর্গ করেছিলেন। আদিবাসী আন্দোলনে ও আদিবাসী মানুষের কল্যাণসাধনে তাঁর ভূমিকা ও অবদান ছিল বিরাট। আদিবাসী সমাজের অভ্যন্তরে থেকে তিনি তাঁদের বিকাশে নিজের জীবন অতিবাহিত করেন। আমি সুকুমার হাঁসদার পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’ এদিন কলকাতায় ফুলের স্তবক দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি বলেন,‘আমার আপনজন ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সুকুমার হাঁসদা মহাশয়ের প্রয়াণে আমি গভীর ভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। ওনার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’ তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী সুষমা হাঁসদা, চিকিৎসক কন্যা সোমা হাঁসদা ও এক ইঞ্জিনিয়ার ছেলে। তাঁর অকাল প্রয়ানে শোকস্তদ্ধ ঝাড়গ্রামবাসী। সাধারণ মানুষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলি শোকজ্ঞাপন করেছেন মাটির মানুষ সুকুমার হাঁসদার প্রয়াণে। এদিন রাতে তাঁর বাড়িতে ঝাড়গ্রাম শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট