জৌলুশহীন খালনার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো ? কিন্তু কেন ?


বুধবার,২৮/১০/২০২০
604

হাওড়া,আমতা: কোজাগরী পূর্ণিমার চারদিন আগে থেকেই প্রতিবছর সেজে উঠত ‘লক্ষ্মীর গ্রাম’ খালনা।হাওড়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এই এলাকা। বাগনান-জয়পুর বাস রুটের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সারা খালনা গ্রাম জুড়ে থাকতো লক্ষ্মীময়।একসময় গ্রাম ভাসত বন্যায়। মাঠেই নষ্ট হত ফসল। তখন কাজের খোঁজে শহরে পাড়ি দিয়েছিলেন গ্রামের অনেকে।লক্ষী পুজোর সময় তাঁরা গ্রামে আসতেন। এমনকি তাঁদের দেওয়া টাকায় ধুমধাম করে হত লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা ।দূর্গাপুজো নয়, লক্ষ্মীপুজোই এখানকার শ্রেষ্ঠ উৎসব। কয়েকটি দুর্গা পুজো হলেও ধনদেবী লক্ষ্মীই এই গ্রামের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। সারা গ্রামে প্রায় ৪০টি বারোয়ারি লক্ষ্মীপুজো হয়। যার মধ্যে অন্ততপক্ষে ২০টি বিশাল বাজেটের থিমের পুজো হত খালনা গ্ৰামে।করোনা আবহে সমস্ত কিছু পাল্টে গেছে এবছর। করোনা পরিস্থিতিতে এবার অনেকটাই জৌলুশহীন খালনার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। কোনোরকমে পুজো করছেন উদ্যোক্তারা। করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এবার পুজোর আয়োজন করছেন উদ্যোক্তারা। বাতিল হয়েছে কার্নিভাল।নেই থিমের ছটাও।এবার লক্ষ্মীগ্রাম তাই আমেজহীন।

তবে কিছু কিছু পুজো মন্ডপে করোনা নিয়ে সতর্কতার থিম তুলে ধরা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে । স্থানীয় বাসিন্দা  সমাজসেবী নবকুমার সানা জানান,  কোভিড যুগে সমস্ত ব্যবসা বিশেষ করে স্বর্ণ শিল্প ও লৌহ শিল্পের অবস্থা খুব খারাপ । তাঁরা নিজেদের পরিবারের সমস্যাই মেটাতে পারছেন না। পুজো বড় করে করবেন কিভাবে ।তাই পুজোর বাজেট এখানে অনেক কমে গিয়েছে । তাই ছোট করে কম বাজেটে হবে পুজো । তিনি জানান, পাশাপাশি গ্রাম থেকে অসংখ্য মানুষ এলে তাঁদের ভিড়ের জন্য করোনা ব্যাপক আকার যাতে না নেয় তার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করছে পুজো উদ্যোক্তাগুলি। প্রশাসনও এখানে তৎপর। তাই সামাজিক দূরত্ব মেনে দর্শনার্থীদের মন্ডপ পরিদর্শন করানো হবে। তবে যেহেতু সমস্ত ব্যবসার হাল মন্দা আর কোভিড পরিস্থিতি তাই  হাওড়ার আমতা দুই নম্বর ব্লকের লক্ষ্মীগ্রাম বলে পরিচিত খালনার লক্ষ্মী পুজো এবছর জৌলসহীন বলে জানান নবকুমারবাবু।

বিজ্ঞাপন

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট