পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্লাবিত এলাকাগুলি ঘুরে দেখলেন জেলাশাসক রেশমী কোমল


সোমবার,২৪/০৮/২০২০
721

পশ্চিম মেদিনীপুর:-একটানা ভারী বৃষ্টির ফলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন নদীতে জল বাড়ছে। সেই সব নদীর জল কিছু কিছু এলাকায় ঢুকে বেশ কিছু গ্রামকে প্লাবিত করেছে। তাই সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক রেশমী কোমল, পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার রাজনগর, নাড়াজোল, পলাশপাই সহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেন এবং ওই এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন। এরপর চন্দ্রকোনা,সুপা সহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখার পর জেলাশাসক রেশমী কোমল বলেন পলাশপাই এলাকায় পলাশপাই খালের উপর থাকা কন্যাশ্রী সেতু টি ভেঙে গিয়েছে, দ্রুত ওই সেতুটি মেরামত করার জন্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে যদি ভারী বৃষ্টি হয় তাহলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা মোকাবিলা করার জন্য যা প্রয়োজন তার সবই ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুর ও কেশপুর এলাকার ব্লক প্রশাসনকে প্লাবিত এলাকা গুলির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধান চাষের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে বলেও তিনি জানান। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান ।

এরপর জেলাশাসক পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ও সবং ব্লকের প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখেন। সেখানে সাংসদ মানস ভুঁইয়া সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন ।জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন সোমবার জেলার প্লাবিতএলাকা ঘুরে দেখা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে যদি ভারী বৃষ্টি হয় তাহলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে ।তাই আগাম প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় ব্লক থেকে পঞ্চাযেত সমিতি গুলিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আগাম নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন যে আমন ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তিনি জেলা কৃষি দপ্তরের আধিকারিক কে জানাবেন বলে জানান।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট