মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের ভুল বোঝাচ্ছে বিজেপি। নৈহাটি উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করে বলেন বিজেপি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। বাংলা সম্প্রীতির মাটি। বাংলার মানুষ বিজেপির এই অপচেষ্টা রুখে দেবেন।
মানুষকে বিজেপি কলের পুতুল ভেবেছে! উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি উৎসবের মঞ্চ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মতুয়াদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। নাগরিকত্ব নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। এক বছর আগে আধার কার্ড নিয়ে মোদী সরকার কী না করেছে। এখন আবার আধারকে অন্ধকারে পাঠিয়ে দিয়েছে।
সব কিছুর সঙ্গে আধার লিঙ্ক করতে হবে। তা না হলে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না কেউ, ভর্তি হতে পারবে না স্কুলে, কত কিছুই না বলেছিল মোদী সরকার। এখন সেই আধার-প্রেম শেষ। আধার কার্ডকে অন্ধকারে পাঠিয়ে দিয়েছে বিজেপি। এখন বলছে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট চাই।
বিজেপিকে নিশানায় মমতা বলেন, তুমি কে হে নাগরিকত্ব দেওয়ার। আমাদের এতদিন কি কোনও নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট ছিল? আমরা কী জানতাম, এদেশে জন্মেছি, এদেশে ভোটাধিকার রয়েছে, ভোটার কার্ড রয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, এ দেশের স্কুলে পড়েছি, এ দেশে বড় হয়েছি, এ দেশ আমার। আমরা এদেশের নাগরিক। আর বিজেপি সেসব ভুলিয়ে দিতে চাইছে। দেশের মানুষকে বিদেশি বানানোর ছক কষছে। বলছে, আমরা যাদের সার্টিফিকেট দেব, তারা শুধু নাগরিক, বাকিরা নয়। এটা কি বিজেপির একার দেশ! প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি বললেন, আপনারা ভাববেন না। আপনাদের সব ভার আমাকে দিন।
মমতা বলেন, মানুষকে লাইনে দাঁড় করানো যাবে না। এখানে এনআরসি হবে না। কারণ এখানে আমাদের সরকার রয়েছে। অসমে এনআরসি হয়েছে, তার কারণ অসমে বিজেপির সরকার রয়েছে। বঙ্গবাসীর উদ্দেশ্য, মমতার বার্তা আপনারা শুধু ভোটার লিস্টে নামটা ঠিকঠাক করে তুলে রাখুন। তারপর দেখব বিজেপি কী করে দেশের মানুষকে বিদেশি বানায়।
https://youtu.be/FMHjCvu8Uek
মমতা বলেন, বিজেপি এমন একটা ফাঁদ পেতেছে যে, দেশের মানুষকে এরা বিদেশি বানিয়ে দেবে, তারপর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে বলবে। এবং এদের সরকার ঠিক করবে কে নাগরিক হবে। অর্থাৎ যাদের গলায় বিজেপির মাদুলি ঝোলানো থাকবে, তারাই নাগরিক। সে হবে না। মানুষ তোমাদের অভিসন্ধি পূরণ করতে দেবে না।
মমতা বলেন, রাজ্যে সব উদ্বাস্তু কলোনিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অতএব কোনও ভয় নেই। বাংলার সরকার মানুষের পাশে রয়েছে। বিজেপির অপচেষ্টা রুখবই আমরা। মানুষ সঙ্গে থাকলে, মোদী-শাহদের ক্ষমতা নেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার। অধিকার কেড়ে নিতে দিচ্ছি না দেব না। আমাদের অধিকার আমাদেরই থাকবে। বিজেপিকেই বিদায় নিতে হবে।