দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বুলবুলের তান্ডবের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে ত্রাণের জন্য হাহাকার।ঘরবাড়ি, মাঠের ফসল সবই প্রায় শেষ। মাথা গোঁজার জায়গা হারিয়ে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে। এখন তারা ঘরে ফিরতে চাইলেও কোথায় রাত কাটাবে তা নিয়ে পড়েছেন চরম সঙ্কটে। সেই সঙ্গে খাদ্যের সঙ্কট। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ পৌঁছায়নি বলে ক্ষোভে ফুঁসছেন হাজার হাজার দুর্গত মানুষ। সব এলাকায় এখন পৌঁছায়নি প্রশাসনের সাহায্য। তবে শুকনো খাবার নিয়ে সুন্দরবনের কয়েকটি এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী ও স্বেচ্ছাসেবকরা।গত কয়েক দিন ধরে পাথরপ্রতিমা ব্লকের জি প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় ভারত সেবাশ্রম সংঘের তরফ থেকে শুরু হয়েছে ত্রাণ বিতরণের কাজ। ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান আত্মস্থানন্দ মহারাজ বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের এই বিপদের সময় সামর্থ্য অনুযায়ী ত্রাণ দেওয়া শুরু করেছি। এখন শুকনো খাবার, পোশাক, কম্বল প্রভৃতি দিচ্ছি। মেডিক্যাল টিমও পাঠানো হয়েছে।
পরে রান্না করা খাবার দেওয়ার ব্যাবস্থা করবো।পাশাপাশি বুলবুল প্রভাবে সুন্দরবন অঞ্চলে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ। বুলবুল এর প্রভাবে যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি রুখতে উদ্ধার কাজে নেমে পড়ল ভারত সেবাশ্রম সংঘ। সংঘের প্রধান কার্যালয় কলকাতার বালিগঞ্জ থেকে স্বামীজি এবং স্বেচ্ছাসেবক দল সুন্দরবনের সাগরদ্বীপের বিস্তীর্ণ এলাকায় রওনা দেন। বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা পর্যটক এবং বাসিন্দাদের উদ্ধার কাজ শুরু করে দেন। ইতিমধ্যেই দুশোর বেশি মানুষকে বিভিন্ন বিপদজনক জায়গা থেকে উদ্ধার করে কাকদ্বীপের 8 নম্বর লটে ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি গঙ্গাসাগর সহ সুন্দরবনের অন্যান্য অঞ্চলে সংঘের কার্যালয় থেকে উদ্ধার কাজ এবং শুকনো খাবার বিতরণের কাজ এদিন থেকে শুরু করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, বুলবুল এর প্রভাবে কতটা বিপর্যয় নেমে আসবে তা এখনই আন্দাজ করা যাচ্ছে না ।তাই আইলার ঝড়ে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সেই কথা মাথায় রেখেই সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।স্থানীয় বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা সহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যে কোনরকম প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতায় উদ্ধার কাজে নেমে পড়বেন তাদের সন্ন্যাসী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা।