প্রেমের ছ্যাঁকা -এন.কে.মণ্ডল (চতুর্থ পর্ব)


সোমবার,০৭/১০/২০১৯
1960

প্রেমের ছ্যাঁকা -এন.কে.মণ্ডল
(চতুর্থ পর্ব)

রোহান নরম সুরে বলে উঠল ঠিক আছে, তুমি।ভালো থাকো আমি এটাই চাই। এইবলে চলে আসলো রোহান নিজের ফ্লাটে।

দুইমাস পর—————–

দুইমাস অতিক্রম করার পর রোহান একজন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এখন তাঁর সবকিছু আছে। সরকারি ভি.আই.পি বাংলো,গাড়ি ইত্যাদি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
একদা একদিন রোহান প্রতিদিনের মত অফিস থেকে বাড়ি ফিরছে এমতাবস্থায় রাস্তার পাশে দেখতে পেলো কয়েকজন গুণ্ডা মিলে একজন বয়স্ক ব্যাক্তিকে মাথায় বন্ধুকের নল ঠেকিয়ে কি যেন বলছে আর হুমকি দিচ্ছে।
রোহান গাড়ি থেকে নেমে টুলবক্স থেকে একটি রিবলবার নিয়ে একজন কে নিশানা করে মারে এবং সে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। আর বাদবাকি গুণ্ডা ছুটে পালিয়ে যায়। বৃদ্ধটিকে নিজের গাড়িতে এনে সবকিছু জানতে চাইলো। তখন বৃদ্ধটি বলল আমার কাছে জোর করে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলো এবং তাঁরা ফের আবার কয়েক লক্ষ আজ নেওয়ার জন্য আমার গাড়িতে হামলা করে। বাবা তোমাকে অনেক ধন্যবাদ, ইশ্বর তোমার মঙ্গল করুক। বৃদ্ধটি নিয়ে গেলো তাঁর বাড়িতে এবং গিন্নীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলো। বৃদ্ধার নাম জুয়েলা থমাস ও বৃদ্ধের নাম জর্জ থমাস।

—–জুয়েলা থমাস: বাবা তুমি অনেক বড় কাজ করেছো,তোমার কাছে আমরা অনেক কৃতজ্ঞ থাকব।

—রোহান: না মা ছেলের কাছে বাবা মা কৃতজ্ঞ থাকে না বরং বাবা মায়ের কাছে সন্তানেরা কৃতজ্ঞ থাকে।

জুয়েলা থমাস কে রোহান মা বলাতে হৃদয়ে অনেক শান্তি পেলো। এবং বলল বাবা রোহান আমায় তুমি মা বলে ডাকলে।

—–রোহান: আরে মা কে মা বলব না তো কি বলব,আপনারা আমার পিতা মাতার মত। তাই তো মা বলে ডেকেছি।

—জুয়েলা থমাস: ঠিক আছে বাবা আমরা নিসন্তান, তুমিই আমাদের সন্তান।

—জুয়েলা থমাসের সঙ্গে জর্জ থমাসও বলল হ্যাঁ, তুমিই আমাদের ছেলে বাবা।

—জুয়েলা থমাস: রোহান তুমি জানো কাকে বাঁচিয়েছো।

—রোহান: হ্যাঁ, আমার একজন বাবা কে।

—জুয়েলা থমাস: সে তো অবশ্যই। তুমি থমাস গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রির নাম শুনেছো।

—-রোহান: হ্যাঁ, সে তো অনেক বড় কোম্পানি।

—জুয়েলা থমাস: হ্যাঁ অনেক বড় কোম্পানি, আর সেই কোম্পানির মালিক হলেন উনি।

রোহান আকাশ থেকে ভেঙ্গে পড়ল, আমি স্বপ্ন দেখছি না তো। না না স্বপ্ন নয় এ তো সত্যিই।
রোহান কে পূত্র হিসাবে নিয়ে নিলো জর্জ থমাস। এবং তাঁর বাড়িতে আসা যাওয়া করতে লাগলো

একবছর পর – – – – – – –

একবছর পর রোহান অস্ট্রেলিয়ার একজন ডি.এম পদে অবস্থিত হয়েছে। এমন সময় জর্জ থমাস বড় রোগে আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসক বলেছে যে আপনার বাবা আর বেশীদিন বাঁচবে না। এবং বাড়িতে রেস্ট নেওয়ার পরামর্শ দেয়। রোহান চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনজন চিকিৎসক ও দুজন নার্স নিযুক্ত করলেন বাড়িতে। অতিরিক্ত সেবার কারণে জর্জ থমাস অনেকটা ভালো বোধ করছে।

এন.কে.মণ্ডল

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট