শেষ ঠিকানা  ( পর্ব ৩)


মঙ্গলবার,২৪/০৯/২০১৯
1786

পর্ব ৩
শেষ ঠিকানা গল্প

চলমান জীবনে মানুষ নানান ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকে ।এর কোনো টা হয়তো মধুর আবার কোনটা হয়তো বেদনা। কেউ কেউ অতি প্রকৃতি অভিজ্ঞতা দাবি করেন যা হয়ত যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব নয় ।

রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে ঘটে তবে সামাজিক অভিজ্ঞতা খুব একটা হেরফের হয় না। তার কারণ এমন ক্ষেত্রে তাঁর ব্যক্তিত্ব অভিজ্ঞতা প্রকাশ করলেও এগুলোতে ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিই প্রকাশ করা হয় ।ভাষার উপর দখল থাকলে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা সম্ভব কিছু সাহিত্য প্রতিভা না ,থাকলেও গল্প লেখা সম্ভব নয় কিন্তু কিছু প্রকৃতির মানুষ থাকে যাদের কে একটি নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে বাস্তবের সম্মুখীন হতে হয়।

আমিও তার মধ্যে একজন।প্রথম থেকে শিলিগুড়ি আসার পর এবং শিলিগুড়ি আসার আগে বাস্তব একটা কাহিনী সম্মুখীন হতে হয়েছিল আমার কিন্তু এমন কখনো ঘটেনি যে পশুপাখির মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে যাব।

জঙ্গিরা আমাকে যখন জঙ্গল থেকে বের করে দিল তারপর আমি সদরের চলে আসলাম বাসায় ফিরে আমি ভাবছি শিলিগুড়ি আসতে কত বিপদ হলো আমার এমন সময় কেউ এসে কলিং বেল বাজালো

-আর বলছে বাড়িতে কেউ আছে

-আমি বললাম হ্যাঁ ভিতরে আসেন দরজা খোলাই আছে

তারপর দেখি লোকটা ছিল ফরেস্ট অফিসার হাতে একটা টিয়া পাখি , পাখিটাকে দেখে আমার মনে হল মানুষ যেমন স্বাধীন হয়ে সবার মাঝে বাঁচতে চাই পশুপাখিদের ইচ্ছে করে করে সবার মাঝে বেঁচে থাকতে কিন্তু তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা একইভাবে প্রকাশ পায় না।

আমি এই পাখিটাকে দেখে ফরেস্ট অফিসার কে প্রশ্ন করলাম এসব আমার এখানে কেন

উনি উত্তরে বললেন আপনার সাথে আমার জঙ্গলে দেখা হয়েছিল আপনার হয়তো মনে নেই।

জঙ্গল থেকে এক কিশোরী আপনার পিছু নিয়েছিল। সে পিছু নেওয়ায় আপনাকে কোথাও যেন আড়াল করে দেখছিল এবং আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছিল।

সে কিশোরী ছিল ওই জঙ্গিদের রাজার মেয়ে কিন্তু সে একটু ভিন্নরকম জঙ্গিদের থেকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় এবং সে মানুষের মত সাধারন ভাবে কথা বলতে পারে এবং স্বাধীন ভাবে জীবন যাপন করে।

আপনি জঙ্গলে প্রবেশ করার সময় প্রথম গেটে যখন আপনার ঠিকানা লিখে ছিলেন তখন আমি ওই ঠিকানা থেকে আপনার এখানে পৌঁছেছি আর ওই মেয়েটি আমাকে অনুরোধ করেছিল যে আপনাকে এই পাখিটা উপহার দেওয়ার জন্যে।

তাই আমি অনুরোধ ফেলতে পারলাম না যে আপনার এখানে চলে আসলাম।

এই কথা শুনে আমায় খুবই চমৎকার হলাম এবং ওই মেয়েটাকে দেখতে ইচ্ছুক খোলা।

ফরেস্ট অফিসার কে বলি আমি ওই মেয়েটাকে দেখার সুযোগ করার জন্য বললাম আর সেই ভাবে ফরেস্ট অফিসার বলল এবং তার সাথে আমার দেখা হলো তারপর দেখি সে সাধারন মানুষের মতই একজন মানুষ কিন্তু পরনে ছিল জংড়ীদের মত কাপড়-চোপড়। দেখতে খুবই সুন্দর ছিল হাতে ছিল তীর ধনুক।মেয়েটির সাথে দেখা করলাম একটা ঝর্ণার পাশে চমৎকার একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ ছিল সেখানে যেন মনমুগ্ধকর।

এসকেএইচ সৌরভ হালদার
বাংলাদেশ

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট