প্রাকৃতিক দুর্যোগ কে দূরে সরিয়ে রক্তদান শিবিরে সাড়ম্বিরে যোগদান মৌপাল স্কুলের পড়ুয়ারা


বৃহস্পতিবার,০৫/০৯/২০১৯
557

পশ্চিম মেদিনীপুর :- সকাল থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, বেলা যতই গড়িয়েছে বৃষ্টির দাপট ততই বেড়েছে। বৃষ্টির দাপট বাড়লেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ রক্তদাতাদের মনোবল ভেঙ্গে দিতে পারেনি। তাই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বিদ্যালয় চত্বরে হাজির আসংখ্য প্রাক্তন ছাত্র। কারণ আজ শিক্ষক দিবস। সেই উপলক্ষ্যে শিক্ষকেরা আয়োজন করেছেন রক্তদান শিবির। তাই এই রক্তদান শিবিরে রক্ত দিয়ে আজকের দিনে শিক্ষদের শ্রদ্ধা জানানোর উত্তম পথ।

আজ ৫ই সেপ্টেম্বর। সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের জন্ম দিন। এই দিন টি সারা দেশে পালিত হয়ে থাকে শিক্ষক দিবস হিসেবে। সেই মতো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠেও শ্রদ্ধার সঙ্গে দিন টি পালন হয়। তবে এই স্কুলের শিক্ষক দিবস পালিত হলো একটু আলাদা ভাবে।
জাতীয় শিক্ষক রাধাকৃষ্ণানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় একটি রক্ত দান শিবিরের। তার সাথে বৃক্ষরোপণ, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের গোলপোস্টের উদ্বোধন এবং বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ের অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আফহিকারিক ড: গিরিশ চন্দ্র বেরা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শালবনী ব্লকের বিডিও সঞ্জয় মালাকার, আনন্দগোপাল মাইতি, রিংকু চক্রবর্তী প্রমুখ ব্যক্তিত্বরা। স্কুলের পক্ষ থেকে এই রক্তদান শিবিরের এই আয়োজন কে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তিনি বলেন বিদ্যালয়ের পক্ষথেকে এই আয়োজন করার জন্য আয়োজক দের ধন্যবাদ জানাই। এই স্কুল কে দেখে আরো বেশি বেশি স্কুল এগিয়ে আসুক রক্তদান শিবিরের আয়োজনে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডঃ প্রসুণ পড়িয়া বলেন, শিক্ষক শিক্ষিকারা সমাজের মেরুদণ্ড। তাই আজ শিক্ষক দিবসের দিনে সকল ছাত্রছাত্রীদের সমাজের কল্যানে কাজ করার আদর্শ বোধ জাগ্রত করতেই বিদ্যালয় থেকে আয়োজন করা হয় রক্তদান শিবিরের। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কে পেছনে ফেলে অসংখ্য ছাত্র রক্তদানের জন্য এগিয়ে এসেছে যা দেখে খুবই আপ্লুত। তিনি আরো জানান এই বছর রক্তদান শিবির সপ্তম বর্ষে পড়লো। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার রক্তদাতার সংখ্যা অনেক বেশী।

রক্তদান শিবিরের পরেই পরে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষক দিবসে শিক্ষকের সম্মাননা জানাতে আয়োজন করে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের। প্রথাগত গন্ডি ছাড়িয়ে এদিন ছাত্রছাত্রীরা হয়ে উঠে শিক্ষক শিক্ষিকা আর শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভুমিকা ছিল পড়ুয়া। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেই কেউ বা প্রধান শিক্ষক কেউ বা বাঙলা, ইংরেজির, শিক্ষক শিক্ষিকা হয়ে উঠেছে। স্বভাবতই একদিনের জন্য এই নতুন দায়িত্ব পেয়ে আনন্দিত শিক্ষক রুপী পড়ুয়ারা। আজকের জন্য প্রধান শিক্ষক হয়ে উঠা দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী মাম্পি মাহাত বলে, সত্যি আজ আমরা খুবই আনন্দিত। এটা আমাদের চলার জীবনের পাথেয় হয়ে উঠেছে থাকবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট