নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রং তুলি ক্যানভাস আনন্দের কথা বলে, ব্যর্থতার কথা বলে, প্রতিবাদের কথা বলে l তারই বারবার প্রমান মেলে চিত্র শিল্পীদের শিল্পকর্মে । কলকাতার গগোনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শনালয়ে চলছে আর্ট লাইন 18 এর বর্ষা উৎসব । ভারত বাংলাদেশ মোট 38 জন শিল্পী 70 টি শিল্প কর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে ।
গণপতি পালের দুটো ছবি নিজেস্ব আঙ্গিকে ভালো লাগলো । কির্তী লতা টোপ্পোর কাস্মিক সেক্স ছবি দর্শকের মন জয় করেছে। মধুমিতা দের রেনি লাইফ ভালো কাজ। রঞ্জিত বাঘের ক্যানভাস রং নির্বাচন মনে রাখার মতো। জল রং এ মুন্সীযান দেখিয়েছেন আদিত্য সামন্ত। নিজস্ব ধরন ছবিতে আনতে পেরেছে পিয়ালী সরকার। শ্রেয়া চক্রবর্তীর ভাবনা সঠিক ভাবে ছবিতে ফুটে উঠেছে।
দেবরাজ বেরার ছবি দেখে মনে পরে যায় ভারতীয় বাঁধাই শিল্পের জনক হারেন দাসের কথা, যদিও দেবরাজের মাধ্যম এক্রাইলিক। চারুর রুদ্র গনেশ দর্শকের নজর কেড়েছে। প্রসেনজিৎ মন্ডলের জল রং এ বৃদ্ধা ভালো লাগো। শান্তুনু দাসের ক্যানভাস আর একটু বড় হলে গনেশ সারা গ্যালারিকে ছাপিয়ে যেতো। স্বার্ণা আক্তারের আফ্রিকান ফোক মনে রাখার মত। প্রদীপ বিশ্বাসের জল রং এ কাজ অনেক দিন মনে রাখবে কলকাতার দর্শক।
অভিজিৎ কোলের মুন্সীয়ানা তার সব ছবি পড়েছে। কাগজের ওপর মিশ্র মাধ্যমের শিল্পকর্ম অন্য মাত্রার দাবি করে। সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের ক্যানভাস জুড়ে লোক শিল্প ও আধুনিকতার মিশ্রনে বন বিবি ছবি যথার্থ। শ্যামলী কর্মকারের স্নানরতা নারী গোটা এক্সিবিশনকে অন্য মাত্রাতে পৌঁছে দিয়েছেl মিঠু মুখার্জি, মিয়াজ, নন্দিতা ভট্টাচাৰ্য, সুকদেব দাস, অনিন্দিতা চক্রবর্তী, অর্জুন মহেশ্বরী,সৌমি রায় চৌধুরী, দেবোজ্যোতি চ্যাটার্জীর কাজ ভালো লাগলো।
আর্ট লাইন 18 এর সভাপতি শ্যামলী কর্মকার জানান, কলকাতা, ঢাকা ছাড়াও সুন্দরবনের একাধিক শিল্পী অংশ গ্রহণ করেছেন। শ্যামলী আরো বলেন, মূলত গ্রাম বাংলার শিল্পীদের অংশ গ্রহণ এক্সিবিশনকে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে।
গত 23 জুলাই এক্সিবিশন উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিল্পী দেবব্রত দেl উপস্থিত ছিলেন বৌদ্ধ ভিক্কু ড. অৰুণজ্যোতি সহ আরো অনেকে। এক্সিবিশন চলবে 27 জুলাই অবধি।