লালগড়ে ২২দিন ধরে মিডডে মিল বন্ধ শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে 


বৃহস্পতিবার,০৪/০৭/২০১৯
391

ঝাড়গ্রাম: ২২দিন ধরে মিডডে মিল বন্ধ রয়েছে লালগড় ব্লকের ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বহড়াবনী শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে। মিডডে মিল না পাওয়ায় পড়ুয়াদের পেটে খিদের জ্বালা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের উদাসীনতার জেরে গত ২২দিন ধরে কেন্দ্রে মিডডে মিল রান্না হচ্ছে না। পড়ুয়ারা খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, পড়ুয়াদের মিডডে মিল থেকে কোনওভাবেই বঞ্চিত করা যাবে না। লালগড়ের ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বহড়াবনী শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে প্রাক-প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ৫৭জন পড়ুয়া রয়েছে। জানা গিয়েছে, গরমের ছুটির পর কেন্দ্র খুলেছিল ১১জুন। তারপর থেকে আর মিডডে মিল রান্না হয়নি। অভিভাবক খুকু পাত্র বলেন, কেন্দ্র খোলার পর থেকে আর রান্না হয়নি।

বাচ্চাদের বলেছি, স্কুলে যেতে হবে না। মাস্টারমশাইদের বলে কোনও লাভ হবে না।তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ডালিয়া মাহাত, চায়না মাহাত, মঙ্গল দোলুই ও চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া সুজন সদ্দার, অনিমা রায়রা বলে, স্কুল খোলার পর থেকে রান্না হয়নি। আমরা বাড়িতে খেয়ে আসি। রান্না না হওয়ায় অনেকে আসছে না। কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক তরুণ মণ্ডল বলেন, প্রথমে টিউবওয়েল খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কয়েকজন গ্রামবাসী সেটি সারিয়েছিলেন। তারপর আর রান্না হয়নি। কেন রান্না হচ্ছে না, সেবিষয়ে প্রধান শিক্ষক কিছু না বললেও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বসহায়ক দল ঠিকমতো কাজে আসছে না। ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেখারানি মুর্মু বলেন, কিছুদিন আগে ওই স্কুলে নলকূপ সারানো হয়েছিল। স্কুলে জলের কোনও সমস্যা নেই। স্কুলের শিক্ষক যদি বিষয়টি না জানান তাহলে কী করে জানব? ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বলেন, মিডডে মিল কেন বন্ধ রয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। মিডডে মিল চালু করা হবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট