- সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়:মিছিলে মুখ ঢাকলো সোমবারের ভাঙড়। একদিকে মিমির কর্মীসভা, অন্যদিকে বিকাশের মিছিল। সকাল থেকে সন্ধ্যা দুজনই পড়ে থাকলেন ভাঙড়ের মাটি কামড়ে। বাম এবং তৃণমূল উভয় প্রার্থীর প্রচারে ছিল বেশ চমক। বিকাশ বাবু নিয়ে আসেন তাঁর সতীর্থ এক ঝাঁক আইনজীবিদের। অন্যদিকে মিমি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরাকে নিয়ে হাজির হন প্রচারে।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে বরাবরই ভাঙড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।বাম হোক কিংবা ডান প্রার্থীদের জয়-পরাজয় অনেকটা নির্ভর করে ভাঙড়ের উপর। এবারও তার অন্যথা হবেনা ভেবে ভাঙড়কেই পাখির চোখ করছেন তাঁরা। সোমবার সকালে ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজার থেকে শুরু করে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করেন যাদবপুরের বাম প্রার্থী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। বিভিন্ন গ্রাম পরিক্রমা করে পোলেরহাট ১ নম্বর অঞ্চলে শেষ হয় বিকাশ বাবুর মিছিল। অন্যদিকে ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের জাগুলগাছি এবং প্রাণগঞ্জ অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে হুডখোলা গাড়িতে ঘুরে বেড়ান যাদবপুরে তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। মাঝখানে মাঝখানে কয়েকটি কর্মীসভাও করেন। মিছিলে হাজির হয় ধামসা মাদল নিয়ে ঢাকিরা। নাচতে এবং অকাল হোলিতে মাততে দেখা যায় তৃণমূলের কর্মীদের।
সকালের পর বিকাল,আর চমক এখানেই। মিমি কিংবা বিকাশ কেউ কারো থেকে কম যান না। বিকাশবাবু এদিন হাজির করেন এক ঝাঁক আইনজীবিদের। তাঁদের নিয়ে মিছিল করেন ভাঙড় ১ ব্লকের ঘটকপুকুর থেকে ভাঙড় বাজার অবধি। অন্যদিকে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের কচুয়া ,পিঠাপুকুর এবং হাতিশালাতে তিনটি কর্মীসভা করেন মিমি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু তথা টলিঅভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা।
তৃণমূল এদিন মিমির পাশাপাশি অঙ্কুশকে নিয়ে প্রচার করলে ভিড় ছিল যথেষ্টই। তবে কানায় কানায় ভরে উঠেনি মাঠ। যারা ছিলেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ছাত্র এবং শিশু। যাদের এখন ১৮ আসেনি নেমে। তাই তারা মিমি কে দেখতে এলেও ভোট দিতে পারবেন না তাঁকে।