বাংলাএক্সপ্রেস, ওরেবডেস্কঃ একুশি ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ভাঙড়ে পালিত হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এদিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর সৈয়দ ইকবাল,এছাড়া উপস্থিত ছিলেন,অধ্যাপক নিরুপম আচার্য,ভাঙড় এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাহাজান মোল্লা,সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌগত পাত্র,সহ সভাপতি ঝর্ণা মণ্ডল সহ একাধিক বিশিষ্ট কবি, সমাজসেবী সাহিত্যকরা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই এক নম্বর ব্লক প্রাঙ্গণে নব নির্মিত শহীদ বেদীতে পুষ্প অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথি বর্গ। পরবর্তীতে ভাষা দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে উপস্থিত অতিথিরা তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
প্রথাগত অনুষ্ঠানের মত এদিনও নীয়মের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে অনুষ্ঠান এগিয়ে চলছিলো, মাঝখানে একটু বেমানান লাগে প্রধান অতিথির জুতো পায়ে পুষ্প অর্পণ করা। যখন রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে তুলনামূলক ভাবে কম পড়াশোনা জানা মানুষেরা জুতো খুলে যথাযথ মর্যাদায় শহিদ দের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন তখন ভাঙড়ের বাইরে থেকে আসা অতিথিরা জুতো পরেই পুষ্প অর্পণ করলেন। অবাক হবেন যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর সৈয়দ ইকবাল, তানিয়া রায় ভভট্টাচার্য, বাচিক শিল্পী শর্মিষ্ঠা পাল, প্রমুখ। ভাঙড় নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে আলাদা ধারণা থাকলেই এদিন ভাঙড় দেখালো কৃষ্টি কালচার কি! সভাপতি সাহাজান মোল্লা, বিডিও সৌগত পাত্র, ঝর্ণা মণ্ডল জুত খুলে পুষ্প অর্পণ করলেন। থানা সমন্বয় কমিটির সম্পাদক কৌশিক মণ্ডল ফুলের ট্রে ধরে রাখবার জন্য জুত খুলে শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকলেন, সেখনে নামী শিক্ষক শিক্ষিকারা জুত পরেই নিজেদের দায়িত্ব পালন করলেন। যদিও ব্যতিক্রমও আছে। প্রকাশ্যে নামী দামি অনেকেই মুখ খুলতে না পারলেও ভাঙড় থেকে যে তারা শিক্ষা নিয়ে গেলেন তা সারা জীবন মনে থাকবে। এদিনের সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি অসাধারণ ভাবে পরিচালনা করেন অধ্যাপক নিরুপম আচার্য।
জুত পরেই ২১শের শহীদ বেদীতে পুষ্প অর্পণ! শিক্ষা দিল ভাঙড়
শুক্রবার,২২/০২/২০১৯
1630