যুদ্ধে সমাধান নয়, জানালেন বাবলুর স্ত্রী


রবিবার,১৭/০২/২০১৯
522

আক্তারুল খাঁন---

হাওড়া: বৃহস্পতিবার জম্মু পুলওয়ামায় ভয়াবহ বিস্ফোরনে বীর সেন শহীদ হন বাউরিয়া চককাশি গ্রামের বাবলু সাঁতরা। শনিবার সকাল থেকেই জমেছিল ভিড়। বেলা যত বাড়ছিল পাল্লা দিয়ে ততই বাড়ছিল ভিড়ের বহর। বদলার দাবিতে ফুটছে দেশের বিভিন্ন মহল ফুটছে তার পাড়া। কিন্তু নিহত বাবলুর স্ত্রী মিতা তিনি বদলাতে চান না। শনিবার তখন এসে পৌঁছায়নি তার স্বামীর কফিনবন্দি দেহ। ক্ষনে ক্ষনে স্লোগান উঠছে, ‘বাবলু সাঁতরা অমর রহে’।

দাবি উঠছে দোষীদের শাস্তির। তার মধ্যেই মুখ খুললেন মিতা। বাবলুর স্ত্রী বললেন, যুদ্ধে এই সমস্যার সমাধান হবে না বলে মনে করি। যুদ্ধে আরও মায়ের কোল খালি হবে। সরকারের উচিত সমাধানের পথ খোঁজা। তবে যুদ্ধের মাধ্যমে নয়। গোটা গ্রামে সর্বত্র শোকের ছায়া।এই এলাকার অনেকেরই বাড়িতে রান্না হয়নি। আজও সকাল থেকে এলাকার বনধের চেহারায়। খোলেনি দোকান বাজার। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ বাউরিয়া চককাশি গ্রামের রাজবংশি পাড়ায় পৌছায় বাবলুর কফিনবন্দি। বাবলুর বাড়ির সামনের মাঠে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা হয়েছিল।

ভিড় যাতে আছড়ে পড়তে না পড়ে, তার জন্য মাঠে ঘেরা হয়েছিল বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে। কফিন পৌঁছানো মাত্রই। তখন চারিদিকে শুধুই কান্নার রোল। সেই ব্যারিকেডে আছড়ে পড়ল ভিড়। শহীদকে শেষবারের মতো দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন আশেপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।মা বনলতা দেবী কফিনের উপর উপুড় হয়ে কাঁদছিলেন। আমার কি হবে?আমার কি হবে? এরপরে আসেন বাবলুর স্ত্রী মিতা।

কোনও মতে এসে কফিনের উপর আছড়ে পড়ে। কফিনেই ধাক্কা মেরে ভাঙেন দু’হাতের শাঁখা। দাঁড়িয়ে অঝর নয়নে কেঁদে চলেছে ছোট্ট পিয়াল। উপস্থিত হাজারো মানুষের চোখ বেয়ে নেমে আসছে জল। বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পালা শেষ হলে খোলা আকাশের গর্জে ওঠে পুলিশের বন্দুক। গান স্যালুটের মধ্যে দিয়ে শেষ বিদায় জানানো হয় শহীদ বাবলু সাঁতরাকে।সেই সময় উপস্থিত মানুষের গলায় শোনা যায় একটাই স্লোগান, পাকিস্তান মুর্দাবাদ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট