চাষে জলের সংকট মেটাতে ‘রেনগান’ দেবে রাজ্য সরকার


শুক্রবার,২৫/০১/২০১৯
642

আক্তারুল খাঁন---

হাওড়া: চাষের জন্য জলের সংকট যাতে দেখা না দেয়, তা মোকাবিলা করার জন্য এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার রাজ্যের কৃষকদের হাতে বিনামূল্যে ‘রেনগান স্প্রিঙ্কলার ‘তুলে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। কৃষি দফতরের আধিকারিকের দাবি, স্প্রিঙ্কলারে কম জলে অনেক বেশি জমিতে চাষ করা সম্ভব। খরচও কমবে। অনাবৃষ্টির কারণে চাষের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যাবে। এই স্প্রিঙ্কলার দেখতে অনেকটাই মেশিন গানের মতো।

পাইপ দিয়ে তীব্রগতিতে জল বের হতে থাকে এবং বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে। তাই অনেকে রেনগান বলে।গল্ফ কোর্সে উত্তরবঙ্গের চা বাগানে জলের যোগান দিতে দীর্ঘদিন ধরে রেনগান ব্যবহার করা হচ্ছে। এই মেশিন ইলেকট্রিক মোটরে চলে। ডিপটিউবওয়েলের জল সরাসরি মাঠে না পাঠিয়ে কোনও জায়গায় মজুত করা হয়।তার স্প্রিঙ্কলারে মাধ্যমে মাঠে জল দেওয়া হবে। কৃষি দফতরের এক আধিকারিক জানান, বর্তমানে যেভাবে চাষের জমিতে সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে দেওয়া হয়, সেটা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক।

চাষে যে পরিমাণের জল দরকার, তার থেকে অনেক বেশি জল জমিতে দেওয়া হয়। গাছ প্রয়োজন মতো জল টেনে নেওয়ার পর বাড়তি জল জমে থাকে বা স্রেফ বাষ্পীভূত হয়ে নষ্ট হয়।ঐমিতে পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব হয়।সাবমার্সিবল পাম্প চালাতে অহেতুক টাকা খরচ হয়। রেনগান স্প্রিঙ্কলার ব্যবহার করলে গাছ প্রয়োজন মতো জল টেনে নিতে পারবে। গাছের গোড়ায় জল জমে না। কৃষি দফতরের আধিকারিক আরও বলেন, বর্তমানে বেশিরভাগ জায়গায় সেচের জলের জন্য সাবমার্সিবল পাম্প ব্যবহার করা হয়। তা দিয়ে বড়জোর ৪০-৫০ বিঘা জমিতে চাষ করা হয়।

কিন্তু স্প্রিঙ্কলার ব্যবহার করলে ১০০ বিঘা জমিতে চাষ করা সম্ভব হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের কৃষি সেচ যোজনায় ব্লকে ব্লকে চাষীদের এই মেশিন বিতরণ করা হবে। এই মেশিন খোলা বাজার থেকে কিনলে ৩০ হাজার টাকারও বেশি দাম পড়ে যাবে।এই জন্য সরকারকে চাষীদের শুধুমাত্র জিএসটি বাবদ ৪০৫০ টাকা দিতে হবে। মেশিন কিভাবে ব্যবহার করতে হবে, তা নিয়ে কৃষি দফতর লিফলেটও ছাপিয়েছে। ব্লকে ব্লকে তা ছড়ানো হবে। প্রজেকশনের মাধ্যমেও চাষীদের সামনে ব্যবহার-বিধি তুলে ধরা হবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট