আচমকাই একই পরিবারের ৬টি গরু মৃত


বৃহস্পতিবার,২৪/০১/২০১৯
520

কার্ত্তিক গুহ---

ঝাড়গ্রাম : বুধবার সন্ধ্যায় আচমকায় একই পরিবারের ৬টি গরু মারা যায়। প্রত্যেকটি গরু কাঁপতে কাঁপতে মুখে নাকে রক্ত বেরিয়ে মারা যায়। ১৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও ঝাড়গ্রাম ব্লকের রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কন্যাডোবা গ্রামের এহেন ঘটনার খোঁজ পাননি ‘পাণীমিত্র’ বা ‘প্রাণীসেবী থেকে শুরু করে ব্লকের প্রাণী সম্পদ দপ্তরের আধিকারিকরা। রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কন্যাডােবা গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী বিমল পাল।

৬ জনের পরিবারের মধ্যে একমাত্র তার ছেলেই ভোলানাথ উপার্জন করেন। পেশায় ও মিস্ত্রি ভােলানাথকে সাহায্য করার জন্য বাড়িতে গরু বাছুর পুষে ছিলেন বিমল। বিমলের স্ত্রী মাধুরী।ঘর-সংসার সামলে গরু গুলির দেখাশুনা করত। বাড়িতে মােট গরু ছিল ৭টি। গৃহবধূ মাধুরী পাল বলেন, ‘প্রত্যেক দিনের মত গরু গুলিকে জমি ও মাঠে চরাতে ছেড়ে দিয়ে আসি। বুধবার সন্ধ্যায় গােয়ালে গরু গুলি বাঁধার সময় দেখলাম একটি গরু কাপছে।

তখনই গরুটিকে না বেঁধে দড়িটা খুলে দিই।” কাদতে কাদতে মাধুরী বললেন,“চোখের সমানে দেখলাম ৬টি গরু পর পর মারা গেল। কিছুই বুঝতে পারলাম না। তখন মাথায় হাত বিমলের। বিমল বললেন, যে ৬টি গরু মারা গিয়েছে তারমধ্যে ২টি বড় গাই, ২টি বড় বলল ও ২টি বাচ্চা বলদ হল। বাজারে কমপক্ষে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাম ছিল। ২টি গরু দুধ প্রতিদিন ৩ লিটার করে দুধ দিছিল। প্রতিদিন ১০ টাকার দুধ বিক্রি হত। সেই দুধ দিয়ে সংসারের খরচ সামাল দিতাম। আমার তাে ডান হাত নেই। কিছুই করতে পারিনি। খুব অসহায় হয়ে পড়লাম!

বৃহস্পতিবার সকাল এগারােটা ততক্ষণে দরিদ্র পাল পরিবার মৃত গরু গুলিকে নহড়খালের ধারে নিয়ে গিয়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার জন্য গর্ত খুঁড়ছিলেন। এমন সময় ঘটনাস্থলে হাজির হন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাণীমিত্র’ রেবতী মাহাতাে এবং ‘পাণীসেবী’ নেপাল মাহাতাে। তারা বিষয়টি দেখে উর্ধতন কতৃপক্ষকে ফোন করে জানান এবং মাটি গরু গুলিকে পুতে দিতে নিষেধ করেন।

তারপর ঘটনাস্থলে এসে পৌছান ঝাড়গ্রাম ব্লকের ভ্রাম্যমান প্রাণী চিকিৎসালয়ের পাখী চিকিৎসক গুরুপন দণ্ডপাট এবং উপ-অধিকর্তা প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগের সহ অধিকর্তা দেবাশিষ কর্মকার। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং মৃত গরু ওলিকে দেখে জানান “অ্যানথ্রাক্স’ হয়েছে। প্রাণী সম্পদ দপ্তরের সহ অধিশতা দেশি বলেন,”গরুর মালিকের সঙ্গে কথা বলে এবং মৃত গৰু গুলিকে দেখে আমরা বুঝতে পারছি সম্ভবত অ্যানথ্রাক্স’ জন্যই গরু গুলি মারা গিয়েছে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট