মিড ডে মিলের পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর


সোমবার,২৪/১২/২০১৮
1223

পিয়া গুপ্তা---

উত্তর দিনাজপুর: উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন একগুচ্ছ উদ্যোগ নিয়েছে মিড ডে মিল খাওয়ার ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে।সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের হাতে মিড ডে মিল রান্নার জন্য গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার খাতে এক কোটি টাকাএসেছে।কিন্তু জেলা প্রশাসন সেই টাকা এখনই খরচ করতে পারছে না।জেলা প্রশাসনের দাবি, গ্যাসের সংযোগদেওয়ার আগে তারা বিদ্যালয়গুলিতে মিড ডে মিল রান্নার ঘর, স্টোর রুম ও ডাইনিং তৈরিকরতে চায়। সেই খাতেটাকা চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে।একই সঙ্গে গ্যাসে রান্না করতে গিয়ে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্যঅগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার জন্যও টাকা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এই সব খাতে টাকা পেলে প্রয়োজনীয়পরিকাঠামো তৈরির পরই গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি মিড ডে মিল রান্নার কাজে যুক্তদেরওপ্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। মিড ডে মিল রান্নার জন্য বরাদ্দ চাল রাখার জন্য স্কুলগুলিকে কন্টেনার দেওয়া হবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে সেই টাকা এলেও তা খরচ করা হয়নি। ওই খাতে টাকা খরচের আগে রান্নাঘর, স্টোর রুম ও ডাইনিং নির্মাণ করার জন্য জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০ কোটি টাকাচেয়েআবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে।এই দু’খাতেটাকা এলে স্কুলগুলিতে এই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।এদিকে, স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল রান্না করার সময়েব্যবহার করতে রাঁধুনিদের অ্যাপ্রন, গ্লাভস, শেফ ক্যাপ প্রভৃতি খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলায় মোট তিন হাজার ২১টি স্কুলে মিড ডে মিলের রান্না হয়এই স্কুলগুলিতে প্রায়এক লক্ষ ছাত্রছাত্রী প্রতিদিন মিড ডে মিলের রান্না করা খাবার খায়। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদেরজন্য এই খাবার রান্না করার জন্য সব জায়গায় আলাদা করে ভালো রান্নাঘর নেই। একইভাবে রান্নার নানা সামগ্রীরাখার জন্য কোনও স্টোর রুম নেই। ছাত্রছাত্রীদের খাওয়ার জন্য বসার জায়গাও সব স্কুলে নেই। এদিকে, রান্নারগ্যাসের সংযোগ দিলেও অনেক স্কুলেই অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। গ্যাস লিসিন্ডার থেকে কোনও সময় বিপদহলে তা মোকাবিলা করার মতো কোনও ব্যবস্থা নেই। আবার গ্যাসের সিলিন্ডার প্রদান করলে সেগুলি চুরি হয়েযাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন স্কুলগুলিতে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার জন্য এক কোটিটাকা পেয়েছে। জেলার মিড ডে মিলের দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক লেনডুপ ভুটিয়া বলেন, আমরা জেলার স্কুল গুলিতে মিড ডে মিলের খাবার রান্না করার জায়গা, নিরাপত্তা, খাওয়ার জায়গা প্রভৃতি তৈরি করার জন্যউদ্যোগ নিয়েছি। গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার জন্য টাকা এসেছে। কিন্তু এগুলি না করে সেই টাকা দিয়ে গ্যাসেরসংযোগ দিলেই হবে না। সেগুলিতে ঠিক মতো রক্ষণাবেক্ষণ করতে গেলে ভালো ঘর লাগবে। সেকারণেই আমরাঅন্যান্য জিনিসগুলি তৈরির উদ্যোগ নিয়ে টাকা চেয়ে দপ্তরের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সেগুলি হয়ে গেলেইগ্যাসের সংযোগ দিয়ে দেওয়া হবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট