এদিন আরামবাগে বিজেপি নেতমত্বরা পথে নামলেন। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ,মধুসুদন বাগ। এদিন হুগলীর গোঘাটের ফরোয়ার্ড ব্লকের নেতা প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক বিজেপিতে যোগ দেন। রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষের হাত থেকে দলিয় পতাকা হাতে তুলে নেন। এ দিন বিশ্বনাথ কারক পতাকা নিয়ে বলেন কয়েক হাজার হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থক যোগ দিয়েছেন বলে জানান।
জানা গেছে এদিন আরামবাগ মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে যাবার কথা থাকলেও কোন পারমিশন না থাকায় দীলিপ ঘোষ মহাকুমাশাসকের সাথে দেখা করতে পারেন নি।তবে আরামবাগ মহকুমা বিজেপি নেতৃত্ব থেকে ১১ দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বলে খবর।
আরামবাগ দৌলতপুর বিজেপি দলিয় কার্যালয় থেকে আরামবাগ মহকুমা শাসকের কারযালয়ে পার্শবর্তি যায়গায় একটি স্বল্প সময়ে খোলা গাড়িতে একটি সভা করেন।
গোটা মহকুমাশাসক চত্তর পুলিশ ও রাফ এ ঘেরাটপে রাখেন। বিজেপি নেতৃত্বদের ঢুকতে দেওয়া হয় নি। এদিন দীলিপ ঘোষ বলেন ” তৃনমূলের জামানায় ১০০ দুনের কাজে দূর্নীতি,বালি লুঠ হয়ে যাচ্ছে,জঙ্গলের কাঠ লুঠ হচ্ছে। তিনি পুলিপ্রশাসনের উদ্দেশ্য বলেন ” যদি রাজনীতি করতে হয় তৃনমূলের ঝান্ডা ধরে করো, আমরাও আছি। তিনি পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন ” আমাদের ছেলেদের বলবো সকল থানার পুলিশ কর্মীদের নাম লিখে রাখতে।দিন আসছে বিজেপি নেতৃত্বরাও দেখে নেবে বদলা বিজিপিও নেবে তাও আবার সুদ সমেত উসুল করবো। এতো শিতেও আরামবাগ তৃনমূল নেতারাও কাঁপবে। বলেন এটা ট্রেলার ইয়ে তো এক ঝাঁকি হায় পিকচার আভি বাকি হায়। ওনার চাঁচাছোলা বক্তব্যে তৃনমূলকে তুলোধনা করেন। আরো বলেন আমাকে ৯ বার তৃনমূল আক্রমন করেছে” সুনামির সময় আন্দামানে ছিলাম সুনামি থেকে বেঁচে এসেছে, আমাকে মারা কঠিন বলেন। এদিন গোটা আরামবাগ শহর বেশ রাজনৈতিক উত্তাপে ছিলো বলাই যায়।