কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা


বৃহস্পতিবার,২৯/১১/২০১৮
965

শুভ বিশ্বাস---

কবিগুরুর নানান স্মৃতি জরিয়ে রয়েছে এই মেলাকে কেন্দ্র করে। শান্তিনিকতনের পৌষ মেলা নিয়ে রয়েছে বহু গল্পগাঁথা। বাঙালী জাতী বরই উৎসবপ্রিয় একটা জাতী…. নানা উৎসবের রঙে রাঙিয়ে নেয় তাদের আপন ভূবন। পৌষ মেলার সূচনা হয় ১৩০২ বঙ্গাব্দের ৭ পৌষ (১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দ)। তবে ওই দিনটির ইতিহাস আরও ৫০ বছরের পুরনো। এ মেলার এক বিশেষত্ব তার হস্তশিল্প ও গ্রামীণ কৃষ্টিতে। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে প্রতিটি দ্রব্যই বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এ ক্ষেত্রেও বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরকে আমন্ত্রণ জানানো হয় অংশ গ্রহণের জন্য। থাকে মৃৎশিল্প, ডোকরা শিল্প, বাঁশি, ডুগডুগি, একতারা। বিশ্বভারতী ও শ্রীনিকেতনের স্টলে পাওয়া যায় বই, বস্ত্র ও চর্মজাত সামগ্রী।

কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে শ্রীনিকেতনের ভূমিকার নিদর্শন মেলে এই মেলায়। শান্তিনিকেতনের প্রথম উন্নয়ন হয়েছিল দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাধ্যমে।কবিগুরুর সাথে এই মেলার নানা কাহিনী জড়িয়ে রয়েছে। এই মেলায় বহু মানুষ আসেন । এই মেলা বারবার নজর কেড়েছে দর্শকদের। অন্য মেলার থেকে লাল মাটির দেশের এই মেলা সম্পুর্ন আলাদারকম। এই মেলা আগত দর্শনার্থীদের শান্তিনিকেতনের উত্তরাধিকারের এক বাস্তব চিত্র প্রদান করে। পৌষ মেলার — প্রতিটি দিন বিভিন্ন কর্মসূচিতে পরিপূর্ন্ থাকে। বীরভুম জেলার বিভিন্ন আঙ্গীকের লোক সংস্কৃতির সংমিশ্রনের এই মেলা। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের মিলন মেলা: এই শান্তিনিকেতন। এই মেলা নিয়ে রচিত হয়েছে অজস্র গান। এই মেলায় নানান ধরনের বিনোদনমুলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এক সময়ে এ মেলার নাম ছিল ভুবনডাঙার মেলা। এখন শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা নামে এক ডাকে চেনে গোটা বিশ্ব। পরে মেলা উঠে আসে পূর্বপল্লির মাঠে। এই বছর ২৪ ডিসেম্বর থেকে এই মেলার সুচনা হবে। এই মেলার আনন্দ নিতে আপনিও আসতে পারেন শান্তিনিকেতনের এই মেলায়।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট