“দেনা মিটিয়ে পৃথিবীতে আর কোনও সরকার এভাবে এত সামাজিক কাজ করতে পেরেছে কি?” প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর


বুধবার,২৮/১১/২০১৮
551

কার্ত্তিক গুহ---

ঝাড়গ্রাম: কাজই তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। মানুষই হল তাঁর মূল শক্তি। পরিশ্রম তাঁর জীবনের মূল মন্ত্র। তাই তো মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেও তিনি চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি। প্রতিনয়ত মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনে সমস্যার সমাধান করে চলেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলা সফরে জামবনীর প্রশাসনিক সভাস্থলে দাঁড়িয়ে সমালোচকদের কাছে একটা প্রশ্ন ছুড়ে দেন- “এত হাজার কোটি টাকার দেনা মিটিয়ে পৃথিবীতে আর কোনও সরকার এভাবে এত সামাজিক কাজ করতে পেরেছে কি?”

সভাস্থলে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক নাগাড়ে বলে যান সামাজিক কাজের খতিয়ান। তিনি বলেন-” এখন তো কোনও সীমারেখা নেই সব মেয়েরাই কন্যাশ্রী আমার।অর্থাৎ কোনও বাছবিচার নেই। জেনারেল কাস্ট কি হোক, শিডিউল কাস্টই হোক, শিডিউল ট্রাইবই হোক,মাইনরিটি হোক সবার জন্য সুযোগ আছে।যারা শিডিউল কাস্ট, শিডিউল ট্রাইব পড়াশুনো করলে শিক্ষাশ্রী পাচ্ছে।যারা মাইনোরিটিজ তারা মাইনোরিটিজ স্কলারশিপ পাচ্ছেন। যারা কন্যাসন্তান তারা কন্যশ্রী পাচ্ছেন। মিড-ডে-মিলের ভাত পাচ্ছেন।বিনা পয়সার বই, বিনা পয়সায় প্রাইমারি স্কুলের জন্য ব্যাগ।বিনা পয়সায় জুতো। বিনা পয়সাত চিকিৎসা।এখন আবার নতুন স্কিম করা হয়েছে বাচ্চা জন্মালেই একটা গাছ। জন্ম থেকে মৃত্যু অব্ধি। রাস্তা, আইটিআই, পলিটেকনিক কলেজ, কিষান মান্ডি,স্পোর্টস স্টেডিয়াম, লাল্গড় থেকে ঝাড়গ্রাম ব্রিজ, নয়গ্রামে স্পোর্টস স্টেডিয়াম, নতুন কলেজ, ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কি হয়নি। বিনপুর বলুন, সাঁকরাইল বলুন, বেলপাহাড়ি বলুন, গোয়ালতোড় বলুন, নয়াগ্রাম বলুন, কোথায় হয়নি। কি হয়নি।”

“আজকে মারা গেলেও ডেডবডি পোড়াবে তার জন্যও আমাদের সরকারের স্কিম- ২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কেউ কবর দেবে তার জন্য ওই ২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কোথায় নেই বলুন তো? একটা রাজ্য দেখান- সারা ভারতবর্ষ দেখান সারা পৃথিবী দেখান এত সামাজিক কাজ কোনও সরকার সিপিএমের দেনা করে যাওয়ার পর আর বিজেপির দিল্লির সরকার টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে তা সত্বেও এত টাকার স্কিম আর কোনও সরকার করতে পেরেছে কিনা?” প্রশ্ন করেই মমতার নিজের জবাব-অত সস্তা নয়।

এরপর তিনি পাশের বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ড রাজ্যের তুলনা টেনে বিজেপির নাম না করে বলেন- “পাশে ঝাড়খণ্ড, কি করেছে সেখানে? ঝাড়খণ্ডের লোকেরা বিনা পয়সায় চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসে। ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে আসে। পুরুলিয়ায় আসে। বর্ধমানে আসে। বীরভূমে আসে। ঝাড়খণ্ডে ভাল চিকিৎসা পায় না বিনা পয়সায়।” এরপর মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে বিজেপির কাছে বার্তা পৌঁছে দিয়ে বলেন- “জিজ্ঞাসা করুন, ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীদের জমি দখল হয়ে যায়। এখানে হয় না। এখানে আদিবাসীদের জমি রক্ষা করবার জন্য আইন করা হয়েছে। যাতে আদিবাসীদের জমি কেউ দখল না নিতে পারে।”

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট