অন্ধকারে মাটির প্রদীপ,আধুনিকতার যুগে ভরসা ইলেকট্রনিক্স আলো


সোমবার,০৫/১১/২০১৮
1237

বাংলা এক্সপ্রেস---

পশ্চিম মেদিনীপুর: রাত পোহালেই কালিপুজা।আলোর রোশনাই দীপাবলি উৎসব। কিন্তু এখন সেই আলোর উৎসব ভরে ওঠে অপ্রাকৃতিক আলোতে। মাটির প্রদীপের শিখা ভুলে প্রত্যেকের বাড়িতে তো রঙিন সাজ নেয় ইলেকট্রনিক্স তৈরি টুনিবাল্ব সহ বিভিন্ন ধরনের রঙিন বাতিগুলি। তাই কুমোর সম্প্রদায়ের লোকরা রাস্তার ধারে মাটির প্রদীপ জেগে বিক্রির আশায় বসে থাকে।আলোর উৎসব দীপাবলির জন্য তৈরি করেন মাটির ছোট বড় প্রদীপ থেকে সরা কিংবা মালশা তৈরীর উপকরণ। বিক্রি হয় হাতে গোনা কয়েকটা প্রদীপ কিন্তু বংশপরম্পরায় কুমোর সম্প্রদায়ের মহিলা-পুরুষেরা দীপাবলির আগে প্রদীপের পসরা সাজিয়ে আশায় বসে থাকেন।

বিক্রি না হওয়ার সত্ত্বেও রোদ উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় কেশিয়াড়ি বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তার ধারে কয়েকটি প্রদীপের দোকান সাজিয়েছে কুমোর পরিবারের সদস্যরা।পাশেই কিন্তু দেদার বিকোচ্ছে ইলেকট্রনিক্স টুনি বাল্ব।কুমোর সম্প্রদায় ভুক্ত প্রদীপ বিক্রেতা রঞ্জিত বেরা জানিয়েছেন-“বিশ্বায়নের বাজারে আধুনিকতার যুগে একটি মানুষ মাটির প্রদীপ ছেড়ে ইলেকট্রনিক্স বিভিন্ন ধরনের বাল্বের উপর নির্ভর হয়ে পড়ছে।ফলে প্রদীপ বিক্রির ক্ষেত্রে অনেকটা বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের।দীপাবলি উপলক্ষে কালীপুজোর বেশ কয়েকদিন আগে থেকে রাস্তার ধারে প্রদীপ জ্বেলে বিক্রিবাট্টা শুরু হয়।কিন্তু যত দিন গড়াচ্ছে বিক্রির পরিমাণ ততই কমতে আছে।”ফলে কুমোর সম্প্রদায় এর মহিলা পুরুষেরা বিকল্প অর্থ উপার্জনের পথ খুঁজছেন।

রঞ্জিত বেরার মতে-“এই ভাবে দিনের পর দিন যদি মানুষ যদি ইলেকট্রনিক্স আলোক এর উপর নির্ভর হয়ে পড়ে তবে প্রদীপ বিক্রির যে প্রাচীন ঐতিহ্য নষ্ট হতে বসেছে।তাই আমাদের অর্থ উপার্জনের বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে।”প্রদীপ তৈরির কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ার বিক্রিতেও মন্দা দেখা যায়।বিক্রেতা প্রভাতী বেরা জানিয়েছেন-“কালিপুজা উপলক্ষে আমরা দোকান দেই।কিন্তু এখন সবাই ওই নানান রং এর বাল্ব ব্যবহার করছে ফলে প্রদীপ বিক্রি কমে যাচ্ছে।”আর্থিক মন্দার দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে রাস্তার ধারে বসেই প্রদীপ বিকোচ্ছে ব্যবসায়ী রা।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট