নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক পুলিশের দুই আধিকারিককে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করল এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। পুলিশের টহলদারি ভ্যানে ওই দুই অফিসারকে হত্যা করে ওই আততায়ী নিজেই কাছের একটি সাবওয়েতে নিজের শরীরে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন।নিহত দুই আধিকারিকের মধ্যে একজন ওয়েনজিন লিউ। তিনি সাত বছর নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে কাজ করেছেন। অন্যজন রাফায়েল রামোস দুই বছর আগে কাজে যোগ দেন।
বন্দুকধারীর পরিচয় জানা গেছে। ২৮ বছরের ওই আততায়ীর নাম ইসমিয়াল ব্রিন্সলে। তিনি বাল্টিমোর থেকে এসে দুই পুলিশ অফিসারকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন। তার আগেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। পুলিশের গুলিতে দুই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক এরিক গার্নার ও মিখায়েল ব্রাউনের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই পুলিশ আধিকারিকদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।
এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দেশবাসীকে হিংসার পথ ত্যাগ ও অন্যদের আহত করে এমন ভাষার ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আর্জি জানিয়েছেন।
ঘটনায় উদ্বিগ্ন ওবাবা বলেছেন, তিনি নিঃশর্তভাবে দুই পুলিশ আধিকারিকের হত্যার নিন্দা করছেন। ওই দুই সাহসী অফিসার আর বাড়িতে তাঁদের আপনজনদের কাছে ফিরবেন না। তাই এমন হত্যা সর্বৈবভাবে নিন্দনীয়।হিংসা ও অন্যদের পক্ষে ক্ষতিকারক শব্দ ব্যবহারের পথ ছেড়ে একে অপরের প্রতি সৌহার্দ্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন ওবামা।
নিউইয়র্কের মেয়র বিল দে ব্লাসিও সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, সমগ্র শহরই শোকাকূল। হৃদয় বেদনাহত। শহরের পুলিশ কমিশনার উইলিয়াম ব্র্যাটন রামোস ও লিউকে দক্ষ অফিসার আখ্যা দিয়ে বলেছেন, কোনওরকম আগাম পূর্বাভাস ও প্ররোচণা ছাড়াই অতর্কিতে আক্রান্ত হন তাঁরা। গাড়িতে বসে থাকার সময় আচমকা আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। তাঁরা আততায়ীকে দেখারও সুযোগ পাননি।ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সেমি হ্যান্ডগান উদ্ধার করেছে।
উল্লেখ্য, পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ দুই যুবকের মৃত্যু ঘিরে সম্প্রতি আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ছড়ায়। বিচারে অভিযুক্ত এক পুলিশ অফিসার অব্যাহতি পাওয়ায় বিক্ষোভ আরও জোরাল হয়।