লক্ষী ও সরস্বতীর যুগল আরাধনা হাড়দার লক্ষীপূজোর মূল আকর্ষন


মঙ্গলবার,২৩/১০/২০১৮
662

কার্ত্তিক গুহ---

 

ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর ব্লকের হাড়দা গ্রাম ৷আজ থেকে ১৫৬ বছর আগে সুরেন্দ্রনাথ মন্ডলের হাত ধরে হাড়দা তে শুরু হয় লক্ষী পূজো । সেই গ্রামের মণ্ডলদের পারিবারিক পুজোই এখন গ্রামের সকলের পুজো ৷ এমনকী আশপাশের গ্রামের মানুষও মাতেন পুজোর আনন্দে ৷ পুজোর সমস্ত খরচ বহন করেন মণ্ডলরাই ৷ এই পুজোকে কেন্দ্র করে আগে এক মাস ধরে মেলা বসত ৷ এখন তা কমে এসে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দিন ।

চিরাচরিত লক্ষ্মী প্রতিমার থেকে এখানকার প্রতিমার আদল খানিকটা আলাদা ৷ একচালার কাঠামোর দুই দিকে দুই বোন–সম্পদের দেবী লক্ষ্মী এবং বিদ্যার দেবী সরস্বতী ৷ মাঝখানে স্বয়ং নারায়ন । আর দুই পাশে থাকে দুই সখি । প্রতিমা স্বর্ণালঙ্কারে সজ্জিত ৷ আগে প্যান্ডেল বেঁধে পুজো করা হত ৷ এখন স্থায়ী মণ্ডপ তৈরি হয়েছে ৷ হাড়দার লক্ষী পূজোর মূল অাকর্ষন হল আতসবাজি পোড়ানো । আতসবাজীর এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সূচনা হয় পুজোর ৷

হাড়দার লক্ষী পূজোর অন্যতম আকর্ষণ অমৃতি বা বিউলির কলাই এর জিলিপউই ৷ পুজোর প্রায় এক থেকে দেড় মাস আগেই এই জিলিপির দোকান নিলাম হয় ৷ মেলায় জিলিপির দোকান কে দিতে পারবেন তা ঠিক করতেই এই নিলামের ব্যবস্থা৷ এমনকী জিলিপি কত টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে তার দাম বেঁধে দেওয়া হয় কমিটির তরফে৷ মেলায় প্রতিদিন প্রায় ১০০ কুইন্টালের উপর জিলিপি বিক্রি হয় ৷ জিলিপির জন্যই বহু লোক, বহু দূর থেকে মেলায় আসেন পেল্লায় সাইজ জিলিপির আকারও দর্শনীয় ৷

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট