গুয়াহাটি: উইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয়ের লক্ষমাত্রা ৩২৩।যেটা মোটেও সহজসাধ্য নয়।যথেষ্ঠ চ্যালেঞ্জিং স্কোর।কিন্ত ওপেনার ‘হিটম্যান’ রোহিত ও অধিনায়ক বিরাটের জোড়া শতকে মাত্র ৪২.১ওভারেই জয়ের লক্ষে পৌঁছেযায় ভারতীয় ব্রিগেড।
দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে দলীয় ১০ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে টিম ইন্ডিয়া প্রাথমিক ধাক্কা খায়।৬ বলে মাত্র চার রান করে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন নির্ভরযোগ্য ওপেনার শিখর ধাওয়ান।তার পর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে মাঠে প্রবেশ করেন কোহলি।প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে জুটি বাঁধেন রোহিতের সঙ্গে।
দুজনার মধ্যে গড়ে ওঠে ২৪৬ রানে দীর্ঘ পার্টনারশীপ।জয় প্রায় নিশ্চিত করে ৩৩তম ওভারের শেষ বলে স্টাম্প হয়ে ফেরেন কোহলি।তার আগে তিনি ১০৭ বল খেলে করেন ১৪০ রান।একদিনের কেরিয়ারে এটি তার ৩৬ তম শতরান।
জিততে হলে ১৭ ওভারে মাত্র ৬৭ রান দরকার,তখন ক্রিজে আসেন আম্বাতি রায়াডু।৪২.১ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে দূরন্ত জয় তুলে নেয় মেন ইন ব্লু।২৬ বলের বিনিময়ে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন রায়াডু।ওপরদিকে অপরাজিত থাকেন ওপেনার রোহিত শর্মা।১১৭ বল মোকাবিলা করে ১৫২ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন তিনি।এটি তার ওডিআই কেরিয়ারে ষষ্ঠ দেড়শতাধিক রানের ইনিংস।পৃথিবীর একমাত্র ক্রিকেটার হিসাবে ছয়টা দেড়শতাধিক ইনিংসের মালিক এখন হিটম্যান।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে উইন্ডিজ দল। সিমরান হোয়াটমারের দ্রুত শতক ও কিরন পাওয়েলের দ্রুত অর্ধশতকে ৩২২ রান তোলে তারা।হোয়াটমোর করেন মাত্র ৭৮ বলে ১০৬ রান।৩৯ বলে ৫১ রান করেন পাওয়েল।এছাড়া হোল্ডার ৩৮ ও হোপ ৩২ রান করেন।২৬ রান করেন কেমার রোচ।বিশু ও রোভম্যান উভয়ের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান করে।ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন চ্যাহল।শামি ও জাদেজা ২ টি করে উইকেট শিকার করেন।